শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

বৃষ্টিতে আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে মো. গোলাম ফারুক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম

দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই কাক্সিক্ষত বৃষ্টি হওয়ায় এলাকার চাষিরা আমন ধান চাষা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জানা গেছে, এ উপজেলায় এবার বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই বৃষ্টি না হওয়ায় রোপা আমন লাগাতে কৃষকদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তারপরও অনেকে নির্ধারিত সময়ে চারা রোপণ করলেও বৃষ্টি না হওয়ায় আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন। এরই মাঝে গত এক সপ্তাহ ধরে কাক্সিক্ষত বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা আমনের জমি তৈরিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রকাশ, বগুড়া তথা ঊত্তরাঞ্চলের শস্যভান্ডার খ্যাত দুপচাঁচিয়া উপজেলা সর্বজন পরিচিত ও সমাদৃত। উপজেলা কৃসি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে মোট ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে উফসি ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং স্থানীয় ১৫০ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়। এ সব জমিতে কৃষকরা আমন চাষাবাদের জন্য আষাঢ় মাস থেকেই প্রস্তুতি গ্রহণ করে থাকেন। এই লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই ৬৫০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির কাজও সম্পন্ন করেছেন। আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাসে জমি চাষাবাদও শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু আষাঢ়ের এক মাস অতিবাহিত হয়ে শ্রাবণের শুরুতেও এই উপজেলায় কাক্সিক্ষত পর্যাপ্ত বৃষ্টির মেলেনি।
এই ভরা বর্ষা মৌসুমে উপজেলায় বৃষ্টি না হওয়ায় অশিকাংশ কৃষকই তাদের জমিতে আমন চাষাবাদের প্রস্তুতি নিতে পারেননি। এলাকার অনেক আমন চাষি তাদের জমিতে আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েন। এই মাঝে গত এক সপ্তাহ ধরে শ্রাবণের বারিধারা শুরু হওয়ায় কৃষকরা আমনের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা সদরের মন্ডলপাড়ার সিরাজ উদ্দিন, পাইকপাড়ার ফেরদৌস বিশ্বাস, খোলাস গ্রামের আবু হোসেন, হেলাল উদ্দিনসহ অনেক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, অনেক আশা নিয়ে আগাম আমন চাষাবাদের জন্য বীজ বপন করেছিলেন। কিন্তু সময় মতো বৃষ্টি না হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে বীজের বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পর তাদেরকে জমিতে আমন চাষাবাদ করতে পারেননি। ফলে ফলন নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন রয়েছেন। এ বাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আমন চাষাবাদের সময় ইতোমধ্যে অনেকটা সময় পার হয়ে গেলেও শ্রাবণের বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা তাদের জমিতে রোপণ কাজ শুরু করেছেন। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় জমি রোপণে একটু বিলম্ব হলেও কাক্সিক্ষত বৃষ্টি হওয়ায় সেই ক্ষতি পুষে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে উপজেলায় আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা নেই বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন