প্রশ্ন: জুমআর মত ঈদের নামাযের জন্যেও কী কোন শর্ত রয়েছে?
উ: হ্যাঁ, জুমআ আদায় এবং ওয়াজিব হওয়ার জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, ঈদের নামাযের বেলায় সে সবই শর্ত। তবে দুইটি বিষয়ে একটু পার্থক্য রয়েছে, এক. জুমআ সহীহ হওয়ার জন্য খোতবাহ শর্ত, খোতবাহ ছাড়া জুমআ আদায় হবে না। কিন্তু ঈদের নামাযে খোতবা ওয়াজিব নয় বরং সুন্নাত। দুই. জুমআর নামাযে খোতবাহ আগে হয় আর ঈদের নামাযে খোতবাহ দেওয়া হয় পরে।
প্রশ্ন: এক শহরের বিভিন্ন স্থানে ঈদের জামাআত করা কি জায়েয?
উ: হ্যাঁ, জায়েয।
প্রশ্ন: ঈদের নামাযের ওয়াক্ত কখন?
উ: সূর্যোদয়ের পর পূর্বাকাশ আলোকিত হওয়ার পর থেকে সূর্য হেলে যাওয়া পর্যন্ত ঈদের নামায পড়া যায়। তবে ঈদুল আযহায় তাড়াতাড়ি এবং ঈদুল ফিতরের বিলম্বে পড়া উত্তম।
প্রশ্ন: ঈদের নামায কিভাবে আদায় করতে হয়?
উ: ইমাম মুকতাদী উভয়ে নিয়ত করতে। তাকবীরে তাহরীমা ও হাত বাঁধার পর সানা পড়বে। এরপর হাত উঠিয়ে আল্লাহু আকবার বলে উভয় হাত ছেড়ে দিবে। দুইবার এভাবে হাত উঠিয়ে তাকবীর দিয়ে তৃতীয় তাকবীরের পর হাত বেঁধে কেরাত পড়তে হবে। এরপর রুক‚ সিজদাহ করে ২য় রাকাতের জন্যে দাঁড়াতে হবে। ২য় রাকাতের কেরাত পড়ার পর রুক‚তে যাওয়ার আগে হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে ৩ তাকবীর দিতে হবে। ৪র্থ তাকীরের মাধ্যমে রুক‚তে যেতে হবে। ৪র্থ তাকবীর ওয়াজিব, ভুল হলে সাহু সিজদাহ লাগবে। এরপর যথারীতি নামায পূর্ণ করতে হবে। -মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন