শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

থাইল্যান্ডকে মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

উজবেকিস্তানের বিপক্ষে হার দিয়ে এবারের এশিয়াড শুরু করলেও ‘বি’ গ্রæপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আরেক শক্তিশালী দল থাইল্যান্ডকে মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ। কথাটি বাংলাদেশের ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’র। এশিয়ান গেমসে মাঠের লড়াইয়ে আজ মুখোমুখী হচ্ছে দু’দল। ইন্দোনেশিয়ার পাকানসারি স্টেডিয়াম বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩ টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এশিয়ান গেমস ফুটবলে এটাই হবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের প্রথম দেখা। এ দেখায় মাঠে নামার আগে বাংলাদেশের চেয়ে মানসিকভাবে কিছুটা এগিয়ে থাকবে থাইল্যান্ড। কারণ গত মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ যেখানে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরেছে, সেখানে থাইল্যান্ড শক্তিশালী কাতারকে ১-১ ব্যবধানে রুখে দিয়েছে।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফুটবল ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে থাইল্যান্ডের নাম। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল এই থাইল্যান্ডের বিপক্ষেই। ১৯৭৩ সালের ২৭ জুলাই মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে মারদেকা কাপের ওই গ্রæপ ম্যাচটি ২-২ গোলে অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়।
যে কো ঘরনার ফুটবলে থাইল্যান্ড আসলে বাংলাদেশের জন্য অজয়ে কোনো দল নয়। কিন্তু এ দেশটির সঙ্গে আন্তর্জাতিক ম্যাচ সেভাবে খেলা হয় না লাল-সবুজদের। দীর্ঘ ৪৫ বছর আগে আন্তর্জাতিক ফুটবলে পা রাখা বাংলাদেশ মোট ১৪বার মুখোমুখি হয়েছে থাইল্যান্ডের। এই মোকাবেলায় জয়ের পাল্লাটা ভারী থাইল্যান্ডেরই। তারা ৮ ম্যাচে জিতেছে। বিপরীতে বাংলাদেশের জয় ৩ ম্যাচে। বাকি ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। ২০১৫ সালে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের পর ৩ বছরের ব্যবধানে আবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দেশ।
বঙ্গবন্ধু কাপের আগের সব লড়াই হয়েছিল দুই দেশের জাতীয় দলের। তিন বছর আগের লড়াইটা ছিল বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে থাইল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২৩ দলের। নাসির উদ্দিন চৌধুরীর গোলে বাংলাদেশ জিতেছিল ১-০ ব্যবধানে। এবার মুখোমুখি দুই দেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
এশিয়াডের প্রথম ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটেই রয়েছে বাংলাদেশ। গ্রæপ পর্ব থেকে তাদের বিদায় অনেকটাই নিশ্চিত। থাইল্যান্ড স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে কাতারের কাছ থেকে এক পয়েন্ট কেড়ে নিয়ে। বাকি দুই ম্যাচ জিতলে তারা পৌঁছে যাবে পরের রাউন্ডে। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে থাইল্যান্ড। বাংলাদেশ যেখানে ১৯৪তম স্থান রয়েছে সেখানে থাইল্যান্ডের অবস্থান ১২২। র‌্যাংকিংয়ের এই পার্থক্যই বলে দেয় দুই দেশের যুব দলের তফাৎ কি হতে পারে। তারপরও আশাবাদী বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে। ম্যাচের আগে গতকাল তার মূল ভাবনা ছিল খেলোয়াড়দের রিকভারি নিয়ে। সকালে সব খেলোয়াড়দের সুইমিং করিয়েছেন। জানা গেছে, শীষ্যদের চাঙ্গা করতে নিজে কফি পার্টিও দিয়েছেন। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হারলে এশিয়াড থেকে বাংলাদেশের বিদায় ঘন্টা বাজবে। থাইল্যান্ডের বিপক্ষে পয়েন্ট পাওয়ার প্রত্যাশা কোচের,‘থাইল্যান্ড ও কাতার ম্যাচের কিছু অংশ দেখেছি। থাইরা উজবেকিস্তানের মতো শক্তিশালী নয়। আমরা পরিকল্পনামতো খেলতে পারলে পয়েন্ট পেতে পারি।’ অধিনায়ক জামাল ভূইয়ার কথায়, ‘থাইল্যান্ডের বিপক্ষে হারার কথা ভাবতে পারছি না। তাদের বিপক্ষে পাওয়া সুযোগগুলো অবশ্যই কাজে লাগাতে চাই।’ এ ম্যাচে বাংলাদেশ একাদশে পরিবর্তন আসতে পারে বলে একটি বিস্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। পরিবর্তন সম্পর্কে কোচের মন্তব্য, ‘একাদশটা ঠিক করব রিকভারির মাত্রার উপর। কে কতটুকু রিকভারি করল তার ভিত্তিতে পরিবর্তন হবে। ’ রিকভারি যখন মূল বিষয় তখন ফিটনেস কোচের দায়িত্বটা বেশি। ফিটনেস কোচ স্টুয়ার্ট হটকিসের কথা, ‘ম্যাচের পর সাধারণত ৭২ ঘন্টা সময় প্রয়োজন রিকভারির। সেখানে মাত্র ৪৮ ঘন্টার কম। আমি খাবারের পরিমাণ দিয়ে দ্রæত রিকভারির চেষ্টা করছি।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন