ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচ বাতিল করেছিল মেসিরা। কারণ মেসির জার্সি পুড়িয়ে ফেলতে উস্কানি দিয়েছিলেন ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসিয়েশনের প্রধান জিবরিল রাজৌব। ফুটবল প্রধান হিসেবে এমন উস্কানি গ্রহণযোগ্য হয়নি ফিফার কাছে। এমন কান্ডের পর তাকে এক বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবলীয় কর্মকান্ড থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।
শুক্রবার ফিফার শৃঙ্খলা কমিটি এমন রায় দেয় রাজৌবের বিরুদ্ধে। ফিফা বিবৃতিতে জানায়, জিবরিল রাজৌবের বক্তব্য মানুষকে ‘ঘৃণা ও সহিংসতার’ দিকে উস্কে দিয়েছে। এমন কান্ডে তাকে শাস্তি হিসেবে ১২ মাসের নিষেধাজ্ঞাসহ ২০ হাজার ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। তার অর্থ এই সময়ে ফুটবলীয় কোনও কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখতে পারবেন না ফিলিস্তিনি ফুটবল প্রধান।
পুরো ঘটনা ঘটেছিল রাশিয়া বিশ্বকাপের আগে গত জুন মাসে। জেরুজালেমে ইসরায়েলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল আর্জেন্টিনার। ম্যাচটি জেরুজালেমের টেডি কলেক স্টেডিয়ামে হবে-এমন ঘোষণার পর থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকেন ফিলিস্তিনিরা। এমনকি একটি চিঠিতে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে জেরুজালেমের ম্যাচটি বাতিলেরও আহ্বান জানান ফিলিস্তিন ফুটবল প্রধান জিবরিল রাজৌব। তিনি ম্যাচটিকে ‘রাজনৈতিক হাতিয়ার’ বলেও মন্তব্য করেন সেসময়।
শুধু তাই নয় রাজৌব তখন আর্জেন্টিনা ও মেসির বিরুদ্ধে প্রচারণা শুরু করার আহ্বান জানান। রামাল্লায় আর্জেন্টিনার প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের পর রাজৌব সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেসিকে নিয়ে বলেন, ‘তিনি একজন বড় প্রতীক। আমরা তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করব। আমরা তার জার্সি ও ছবি পোড়ানো এবং তাকে পরিত্যাগ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
ফিলিস্তিন ফুটবল ফেডারেশন ফিফার এই শাস্তির প্রতি উত্তর দিয়েছে। তারা বলছে, ‘ফিফার এই সিদ্ধান্তে দারুণ অবাক হয়েছে ফিলিস্তিন। দেশটির ফুটবল ফেডারেশন দাবি করছে, এই পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, হাস্যকর এবং সম্পূর্ণ প্রমাণ বহির্ভূত।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন