ঝিনাইদহ সদর উপজেলা হিরাডাঙ্গা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অনন্ত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ১৫/২০টি বাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৬ জন। এর মধ্যে হিরণ গ্রুপের ৩ জন ও রাজা গ্রুপের ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। শনিবার সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহীম খলিল রাজার সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষের লোকজন ঢাল, ভেলা ও দেশী তৈরি ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় গ্রামে আতংকের সৃষ্টি হয়। নারী ও শিশুরা জীবন বাঁচাতে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। সংঘর্ষে হাসপাতালে ভর্তি আহতরা হলেন, হীরাডাঙ্গা গ্রামের আবু তৈয়ব, আব্দুল মালেক বিশ্বাস, মোহন বিশ্বাস, আব্দুল আলীম, টিপু, হাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান, মকবুল, রুবেল, রেজাউল ইসলাম, রাজিব, রাশেদ আলী, হাসমত আলী, আখতার, মোতাহার হোসেন ও মিজান। এই সংঘর্ষ নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরনের সমর্থক মিজানুর রহমান বলেন, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে প্রতিপক্ষ রাজা গ্রুপের লোকজন আমাদের উপর অত্যাচার করে। আজও তারা দল বেধে হামলা করে তাদের ৩ জনকে জখম করে। অন্যদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহীম খলিল রাজার সমর্থক মোহন বিশ্বাস জানান, হিরন গ্রুপের লোকজন তাদের বাড়িঘরে ইটপাটকেল মারে। ছাগল গরু লুটপাট করে। গ্রামে শান্তিতে বসবাস করতে দেয় না। শনিবার তারা আকস্মিক ভাবে হামলা চালিয়ে তাদের ২৫/৩০টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করে। সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরন জানান, সামাজিক বিরোধ নিয়ে মারামারি হয়েছে বলে আমি শুনেছি। আমি এখন প্রতিমন্ত্রীর মন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আছি। কিছু লোক আহত হয়েছে বলে এলাকা থেকে আমাকে জানিয়েছে। সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহীম খলিল রাজা জানান, আমিও প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে আছি। এলাকায় মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। তার পক্ষের লোকজন আহত ও বাড়িঘর ভাংচুর ও রুটপাট করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি ইমদাদুল হক শেখ জানান, হিরাডাঙ্গা গ্রামে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। কিছু বাড়িও ভাংচুর হয়েছে। আমরা নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা হয়নি। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নবগঙ্গা নদীর পানি প্রবাহ বাধামুক্ত করতে কচুরিপানা অপসারন অভিযান
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা:
ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদীর শ্রোতধারা বহমান রাখতে কচুরীপনা অপসারণ অভিযান শুরু করা হয়েছে। শনিবার সকালে ধোপাঘাটা ব্রিজের নিচে এ কাজের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম। এ সময় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, স্কাউট কমিশনার আবু বক্কারসহ গ্রাম পুলিশ, স্কাউট সদস্যবৃন্দ কয়েকটি মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মি ইসলাম জানান, নদীর পানি প্রবাহ বাধামুক্ত করতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন ঝিনাইদহ শহরের উপর দিয়ে প্রবাহিত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকার কচুরিপানা পরিষ্কার করা হবে। এতে নবগঙ্গা নদীর শ্রোতধারা ঠিক থাকবে। সেই সাথে নদীর পরিবেশ ফিরে আসবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন