ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফুলবাড়িয়া গেট ও হরিণাকুন্ডু উপজেলার মান্দিয়া গ্রামের মাঠ থেকে মঙ্গলবার সকালে দুইটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত লাশের মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি হলেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কালাপাড়িয়া আবাসন কলোনির তোয়াজ উদ্দীন (৬০)। ক্যানালে মাছ ধরার সময় তাকে মান্দিয়া গ্রামের হাওড়ের ক্যানালে সন্ত্রাসীরা গলা কেটে হত্যা করে। একটি হত্যা মামলার আসামী নিহত তোয়াজ উদ্দীন হরিণাকুন্ডুর কালাপাড়িয়া আবাসন কলোনির মৃত দরাপ আলীর ছেলে। এদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে অজ্ঞাত (৪৫) এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ১০টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী রাস্তার পাশ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়। বারোবাজার পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এসআই শিহাব উদ্দীন জানান, এলাকাবাসী সকালে ফুলবাড়ী রাস্তার পাশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান খান বলেন, হয়তো রাতে রাস্তা পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেখে মনে হচ্ছে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের ধারণা এর আগেও ফুলবাড়িয়া এলাকায় একাধিক ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ পেয়েছে পুলিশ। এদিকে হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি-তদন্ত আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান, হরিণাকুন্ডুতে নিহত তোয়াজ উদ্দিন ভূমিহীন এলাকায় দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে থাকতেন। সেই সাথে বাঁওড়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। রাতে কে বা কারা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। হরিণাকুন্ডু থানার এসআই আব্দুল আওয়াল ঘটনাস্থল থেকে সাংবাদিকদের জানান, ৩ বছর আগে একই স্থানে হক আলী নামে এক ব্যাক্তিকে দুর্বৃত্তরা খুন করে। ওই মামলার আসামী ছিলেন তোয়াজ উদ্দীন। ধারণা করা হচ্ছে হক আলী হত্যার জের ধরেই তাকে খুন করা হতে পারে। লাশ দুইটি উদ্ধার করে মঙ্গলবার দুপুরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন