আবহাওয়ায় স্বাভাবিক পালাবদলের সূচনা হয়েছে। কিঞ্চিৎ হিমেল বাতাসে কাশবনে ধবল ফুলের সমারোহ দোল খাওয়া সবেমাত্র জানান দিতে শুরু করেছে- এখন শরৎ ঋতু । হিমালয় পাদদেশের অদূরে অবস্থিত সর্ব উত্তর-পশ্চিমের তিনটি জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীর বিভিন্ন স্থানে ভোরবেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়ছে। গাছের সবুজ পাতায় পাতায় জমছে শিশিরবিন্দু। গত দু’তিন দিন ধরে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে সেখানকার রাস্তাঘাট, মাঠ-ঘাট প্রান্তর চরাচর। সেই সঙ্গে শেষরাত থেকে সকাল অবধি মিষ্টি শীত অনুভূত হচ্ছে কোথাও কোথাও। গতকাল (সোমবার) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অন্যদিকে দেশের অধিকাংশ স্থানে ভ্যাপসা গরম পড়ছে। চট্টগ্রাম বিভাগ ছাড়া অন্যত্র তেমন বৃষ্টিপাত হয়নি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর যশোরে ৩৫.৬ ডিগ্রি সে.। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩৩.৮ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৮ ডিগ্রি সে.। এমনকি সমুদ্র সৈকতশহর কক্সবাজারেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৮ ডিগ্রি সে.। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রাঙ্গামাটিতে ৫৩ মিলিমিটার।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু দেশের উত্তারাঞ্চলের ওপর মোটামুটি সক্রিয়, অন্যত্র কম সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায়, রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন