জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠন যুব সংহতির বরিশাল জেলা শাখার সম্মেলন নিয়ে জেলা জাপা ও যুব সংহতির মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। গত বরিশাল টাউন হলে দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলা যুব সংহতির নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হলেও অধিকাংশ নেতা তাদের নেতৃত্ব মানতে নারাজ। অপর দিকে জেলা জাতীয় পার্টিও যুব সংহতির সম্মেলন বর্জন করে। বিক্ষুব্ধ যুব সংহতির জেলা ও মহানগর নেতারা পাল্টা কমিটি গঠনের কথাও জানিয়েছেন।
সরদার এনায়েতুল মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যুব সংহতির জেলা সম্মেলনে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বরিশাল-৬ আসনের এমপি নাসরিন জাহান রত্ন আমিনের প্রধান অতিথি থাকার কথা থাকলেও তিনি আসনেনি। বিশেষ অতিথি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাপার আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুলও সম্মেলন বর্জন করেছেন। তবে সম্মেলনে যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন ও সাধারন সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদা অংশ নেন।
জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, বরিশাল জেলা যুব সংহতি জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন। এ সংগঠনের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিসহ জেলা জাতীয় পার্টিকে অন্ধকারে রেখে কতিপয় নেতা সম্মেলন করেছেন। অধ্যাপক হাবুল দাবি করেন ওই সম্মেলনে যুব সংহতির মাঠ পর্যায়ের নেতারা অংশ নেননি। তিনি অভিযোগ করেন যুব সংহতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফকরুল আহসান শাহজাদার বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলায়। যুব সংহতির জেলা সম্মেলন নিয়ে ফকরুল ‘পলিটিক্যাল বিজনেস’ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন হাবুল।
জেলা যুব সংহতির সাবেক সভাপতি ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক নুরে আলম শাহিন বলেন, সম্মেলনে জেলা জাপা এবং যুব সংহতির মাঠ পর্যায়ের কোন নেতা উপস্থিত ছিলেন না। তিনি দাবি করেন, ভাড়াটে লোকজন নিয়ে এভাবে সম্মেলন করে জাতীয় পার্টিকে ক্ষতিগ্রস্থ করা হয়েছে। নুরে আলম শাহীন বলেছেন তারা অচিরেই জেলা যুব সংহতির পাল্টা কমিটি গঠন করবেন। তবে বরিশাল জেলা যুব সংহতির নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মোঃ শহিদুল ইসলাম দাবী করেছেন সম্মেলনে সবাই অংশ নিয়েছেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে সম্মেলনের বিরোধীতা করছেন বলেও দাবি করেনন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন