শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অনাবৃষ্টিতে ব্যাহত রোপা আমন চাষ

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

‘প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ধানের ঠিকমতো শীষ বের হচ্ছে না। বৃষ্টির পানি ছাড়া সেচ দিয়েও লাভ হচ্ছে না। দেখা দিচ্ছে পোকার আক্রমণ।’
লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : উত্তরাঞ্চলের পদ্মানদী বিধৌত নাটোরের লালপুরে ধানের ভরা মৌসুমে প্রয়োজনীয় বৃষ্টির অভাবে ব্যাহত হচ্ছে রোপা আমন ধানের চাষ। অনাবৃষ্টিতে উপজেলার আমন ধানের ক্ষেত গুলো ফেটে যেতে শুরু করেছে। প্রয়োজনীয় পানির অভাবে ধানের ক্ষেত গুলিতে দেখা দিয়েছে রোগবালাই। এ অবস্থায় বিকল্প হিসেবে সম্পূরক সেচ দিয়েও তেমন উপকার পাচ্ছে না চাষীরা।
গত শনিবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেত ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ধানের গাছ থেকে শীষ বের হচ্ছে। এ সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারনে আমন ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চাষীরা।

উপজেলার স্থানীয় ধান চাষীরা বলছেন, এখনকার প্রায় জমির ধানেই শীষ আসতে শুরু করেছে বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এখানকার প্রায় জমিতে জমে থাকা পানি শুকিয়ে গেছে। অনেক জমিতে সম্পূরক পানি সেচ দেওয়া হয়েছে তবে যেসব জমিতে সেচ দেওয়া হয়নি, সেসব জমির ধানগাছ মরে যাচ্ছে। আবার জমিতে সেচ দেওয়া হলেও তাতে তেমন লাভ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে তারা। তারা আরো বলেন, বৃষ্টি না থাকায় ধানক্ষেতে পোকার আক্রমন দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও সম্পূরক সেচ দিতে অধিক মূল্য গুনতে হচ্ছে চাষীদের পাশাপাশি ফলন কমের আশঙ্কায় দিন কাটছে এই অঞ্চলের কৃষকদের।

উপজেলার নান্দ গ্রামের কৃষক রশিদ আলী বলেন, বৃষ্টি অভাবে মাটি ফেটে যাওয়ায় ধানের ক্ষতি হচ্ছে বিকল্প হিসেবে সেচ পাম্প দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছি ।

বড়ময়না গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম বলেন, এখন ধানের শীষ বের হওয়ার সময় প্রয়োজনীয় বৃষ্টি না হওয়ার কারনে ধানের ঠিকমতো শীষ বের হচ্ছেনা। বৃষ্টির পানি ছাড়া সেচ দিয়েও লাভ হচ্ছে না। মাঠে পানি না থাকার কারনে ধানে পোকা ও পচন রোগ দেখা দিয়েছে।
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুল ইসলাম খাঁন বলেন, এ বছর উপজেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। প্রায় ধানেই এখন শীষ আসছে । তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারনে যে সকল জমির পানি শুকিয়ে গেছে সে সকল জমিতে প্রয়োজনীয় সম্পূরক পানি সেচ ও রোগবালাই রোধে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষক পর্যায়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, পরামর্শ অনুযায়ী কৃষক চাষাবাদ করলে আশা করছি ফলন কম হবে না বলেও জানালেন এই কর্মকর্তা ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন