উঠেছিলেন শাকিব খান। সেখানে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য নিজ দেশের চলচ্চিত্রের মানুষদের বদনামও করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সেখানে তার জায়গা হচ্ছে না। কারণ তাকে নিয়ে সেখানে যারা সিনেমা নির্মাণ করেছিলেন তারা ব্যবসায়িকভাবে চরম মার খেয়েছেন। বিশেষ করে কলকাতার বড় সিনেমা প্রতিষ্ঠান এসকে মুভিজ শাকিবকে নিয়ে তিনটি সিনেমা নির্মাণ করেছিল। তিনটির কোনোটিরই পুঁজি তুলতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। তারপরও প্রতিষ্ঠানটি শাকিবকে নিয়ে একটি সিনেমা নির্মান করতে চাইলে ৬০ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দাবি করেন বলে জানা যায়। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে এসকে মুভিজের কর্নধার অশোক ধানুকা। তিনি ঘোষণা দেন শাকিবকে নিয়ে আর কোন সিনেমা বানাবেন না। তার এ ঘোষণার পর কলকাতার আরো কয়েকটি প্রযোজনা সংস্থা শাকিবের ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় কলকাতায় শাকিব তার অবস্থান বুঝতে পেরে এখন দেশের সিনেমার দিকে মনোযোগ দিয়েছেন। বলা যায়, কলকাতায় ঠাঁই না পেয়ে দেশে ফিরেছেন। এমনও শোনা যাচ্ছে, দেশে আবার নিজের ব্যস্ততা বাড়ানোর জন্য পারিশ্রমিক কমাতেও রাজি তিনি। এ সময়ের বড় সিনেমা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্নধার সেলিম খানকেও তিনি আশ্বস্থ করেন, পারিশ্রমিক নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। জানা যায় শাকিব তাকে বলেন, যেভাবেই হোক একটি প্রেম দরকার, মাননীয় সরকার, এবং শাহেনশাহ সিনেমার শূটিং শুরু করেন। এরপরই একটু প্রেম দরকার, মাননীয় সরকার সিনেমার শূটিং শুরু হয়। শোনা যাচ্ছে, এ মাসেই শুরু হবে শাহেনশাহ সিনেমার শূটিং। জানা যায়, শাকিব এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ক্যাপ্টেন খান-এ পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন ৪০ লাখ টাকা। এর পরপরই একটু প্রেম দরকার, মাননীয় সরকার এবং শাহেনশাহতে দাবি করে বসেন ৫০ লাখ করে। এতে প্রযোজক খুবই হতাশ হয়ে পড়েন। কারণ চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ক্যাপ্টেন খান তার পুঁজি তুলতে পারেনি। এতে প্রযোজক হতাশ হয়ে পড়েন। তারপরও তিনি সিনেমা নির্মাণ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে শাকিবের পারিশ্রমিকের কথা শুনে তিনি দমে যান। এ অবস্থায় কলকাতায় শাকিবের ঠাঁই না হওয়ায় শাকিবও দেশে আবার নিজেকে ব্যস্ত করার জন্য পারিশ্রমিক কমিয়ে সেলিম খানকে সিনেমা তিনটি নির্মাণে উৎসাহ দেন। এতে সেলিম খানও খুশি হয়েছেন, আবার শাকিবেরও দেশের সিনেমায় ব্যস্ত হওয়ার সুযোগ মিলেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন