প্রশ্ন: কাদের জানাযা পড়া জরুরী?
উ: যে মুসলমান জন্মগ্রহণ করার পর মারা যায়, শিশুই হোক আর বৃদ্ধই হোক, নারী হোক বা পুরুষ হোক, স্বাধীন হোক বা গোলাম হোক, নামাযী হোক বা বেনামাযী হোক সবার জন্যে জানাযা পড়া ফরয।
প্রশ্ন: যদি কোনো মুসলমানকে গোসল এবং জানাযা ছাড়াই দাফন করা হয়, তাহলে কী করতে হবে?
উ: মৃতের লাশ পচে গলে গিয়ে না থাকলে, কবরের কাছে দাঁড়িয়ে জানাযা পড়তে হবে।
প্রশ্ন: গোসলের আগেই কারো জানাযা পড়ে ফেলা হলে কী করতে হবে?
উ: গোসলের পর আবার যথারীতি নামাযে জানাযা পড়তে হবে।
প্রশ্ন: জানাযার নামায কে পড়াবেন?
উ: এলাকার শাসক যদি যোগ্য হন, তিনি পড়াবেন। শাসককে না পাওয়া গেলে নিকটতম ওলী পড়াবেন। তিনি না পারলে ইমাম সাহেব পড়াবেন। ইমাম সাহেব না থাকলে মৃতের ওলীর অনুমতিক্রমে যে কোনো যোগ্য লোক জানাযার ইমামতি করতে পারবেন।
প্রশ্ন: যদি কেউ এরূপ অসীয়ত করে মারা যান যে, তার জানাযা অমুক পড়াবে; এই অসীয়ত করাটা কেমন?
উ: অসীয়ত করা যায়। তবে শরীয়তে এর কোনো মূল্য নেই। যদি ওই লোককে মৃতের অভিভাবকরা ভালো মনে করে তাহলে পড়াবে। আর না হয় তাদের পছন্দমত লোককে দিয়েই পড়াবে।
প্রশ্ন: মহিলার অভিভাবক কে হবে, পুত্র না স্বামী?
উ: পুত্র, যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয়। তবে পিতা যদি যোগ্য হন তবে তাকে ভার দেওয়াই পুত্রের জন্যে উচিত।
প্রশ্ন: জানাযার নামায দুইবার পড়া কি ঠিক?
উ: একজনের পক্ষে একবারের বেশি পড়া মাকরূহ।
প্রশ্ন: ওলী যদি নামাযে শরীক না হয়, জামাআত হয়ে যাওয়ার পর সে উপস্থিত হলে কি করবে?
উ: ওলী আবার জানাযা পড়াতে পারবে।
প্রশ্ন: মুসাফির কাকে বলে?
উঃ শরীয়তের পরিভাষায় মুসাফির ওই ব্যক্তিকে বলা হয় যে ব্যক্তি বর্তমান হিসাবে অন্তত ৪৮ মাইল বা ৭৭ কিলোমিটার দূর যাওয়ার ইচ্ছায় নিজের গ্রাম/শহর ছেড়ে রওয়ানা হয়েছে। তার জন্যে নামায রোজার আহকামে কিছুটা রদবদল হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন