শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

শিক্ষার্থীদের যৌন নিপীড়ন : অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবীতে লক্ষ্মীপুরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক অফিস | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:১১ পিএম

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার খিলবাইছা রাহমানিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুর হাসানের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উত্ত্যক্ত ও যৌন নিপীড়নসহ নানান ভাবে হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ,অধ্যক্ষের শাস্তি ও পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে মাদ্রাসার সামনের সড়কে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে তারা। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি সড়কের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন করে পূনরায় মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে এসে শেষ হয়।
শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মাদ্রাসার ৯ম ও আলীমের কয়েক ছাত্রীকে অধ্যক্ষ নুর হাসান তার রুমে ডেকে নিয়ে বিভিন্নভাবে যৌন নিপীড়ন করে আসছিল। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করার হুমকি দেয় অধ্যক্ষ নুর হাসান। সম্প্রতি ৯ম ও আলীমের তিন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে অধ্যক্ষ তার রুমে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন ও বাজে কথা বলে উত্ত্যক্ত করেন। এ বিষয়ে শ্রেনী শিক্ষক ও অভিভাবকদের জানায় ওই শিক্ষার্থীরা। পরে অভিভাবক ও শিক্ষকরা অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানলে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বলে অভিযোগ করেন। তাই তারা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামছেন। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অধ্যক্ষ নুর হাসানের বিচার ও পদত্যাগের দাবী জানান। অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসুচির হুশিয়ারী দেন শিক্ষার্থীরা।
এ দিকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুর হাসান যৌন নিপীড়ন ও উত্ত্যক্ত করার বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করার পর থেকে একটি প্রভাবশালী মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিছুদিন ধরে শিক্ষকরা ঠিকমত মাদ্রাসা না আসায় তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া শুরু করলে শিক্ষকদের একটি অংশ ছাত্রীদের দিয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনার ষড়যন্ত্রের শিকার বলেও দাবী করেন তিনি।
এ দিকে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু তালেব জানান, বিষয়টি শুনে মাদ্রাসা পরিদর্শনে যাই। এসময় শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছি। ভিকটিম শিক্ষার্থীরা, অধ্যক্ষের বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি শুনার পর প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসেন জানান, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন