রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এশিয়ান টেলিভিশন ও মানবজমিন পত্রিকায় সোহেল রানা নামে এক কলেজ ছাত্রের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের সামনে "গোয়ালন্দ উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের" ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধন হতে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করায় এশিয়ান টিভি ও মানবজমিন পত্রিকার স্হানীয় প্রতিনিধি সুজন খন্দকারের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানানো হয়।
জানা গেছে , গত শুক্রবার (২৬ আগষ্ট) মানবজমিন পত্রিকায় ও গত ২ সেপ্টেম্বর এশিয়ান টেলিভিশনে আলাদা দুটি খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। "ধরাছোয়ার বাইরে দৌলতদিয়ার মাদকের গডফাদার সোহেল" শিরোনামে মানবজমিন পত্রিকায় ও "হাতুড়ে ডাক্তারের ছেলে কোটিপতি" শিরোনামে এশিয়ান টেলিভিশনে দুটি খবর প্রকাশিত হয়।
কিন্তু প্রকাশিত খবরে মোঃ সোহেল রানাকে মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকের গডফাদার বলা হলেও তার সপক্ষে কোন তথ্য- প্রমান দেয়া হয় নি। এমনকি অভিযুক্ত সোহেলের সাথে এ নিয়ে কোন কথাও বলেননি সুজন খন্দকার।
সোহেল রানা তার বক্তব্যে বলেন, আমার পিতার নাম মোঃ সহিদুল ইসলাম। একজন পল্লী চিকিৎসক হিসেবে সবাই তাকে চেনেন। কয়েকদিন আগে আমাদের বাসার সামনে সুজনের মোটর সাইকেল রাখা নিয়ে আমার সাথে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।এতে পড়ে গিয়ে তার মাথায় সামান্য চোট লাগে। এ ঘটনায় সে আমার ও পরিবার-পরিজনদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এরপর তুচ্ছ সে ঘটনার জের ধরে মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করে। আমি রাজবাড়ী সরকারী কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষে দর্শন বিভাগে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি খেলাধুলা করি ও দৌলতদিয়া বাজারে 'খেলাঘর' নামে একটি ক্রীড়া সামগ্রীর দোকান পরিচালনা করি ।আমার নামে কোথাও কোনো মাদক মামলা নাই। আমি কোনদিন মাদক ছুঁয়েও দেখিনি। অথচ আমি নাকি মাদকের গডফাদার।মাদক ব্যাবসা করে কোটিপতি হয়েছি। এমন মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করায় আমার মানহানি হয়েছে। এমনকি আমার ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেইসাথে ন্যায় বিচার কামনা করছি। আমি অচিরেই তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করব।
মানববন্ধনে সোহেলের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু,বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ ক্রীড়ামোদী শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
পুলিশ ও স্হানীয় সূত্রে জানা গেছে, সুজন খন্দকারের বিরুদ্ধে "মানব পাচার, চাঁদাবাজি ও আইসিটি" আইনে মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে তার একাধিক বাড়ি রয়েছে।যেখানে ভাড়াটে যৌনকর্মী দিয়ে তিনি ও তার বাড়ীয়ালী দেহ ব্যাবসা করান। মানব পাচার মামলায় র্যাবের হাতে গ্রেপ্তারসহ চাঁদাবাজি মামলায় পুলিশের হাতে ইতিপূর্বে তিনি একাধিকবার গ্রেপ্তার হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন