শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সাদপন্থীদের নিষিদ্ধ ঘোষণা

ফেনীতে তাবলীগের ওযাহাতি জোড়

মো. ওমর ফারুক, ফেনী : | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

ফেনী তাবলীগ জামাতের উদ্যোগে দিনব্যাপী ওযাহাতী জোড় অনুষ্ঠিত হয়। ফেনী জেলা তাবলীগের মুুরুব্বী ও সাথীগণের সার্বিক আয়োজনে অনুষ্ঠানে দেশবরেণ্য আলেম ও তাবলীগের মুরুব্বীগণ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই ফেনীর মিজান ময়দান তাবলীগের সাথীদের আনাগোনায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে। বিশাল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। প্রধান বক্তা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা পেশ করেন তাবলীগের কাকরাইলের মুরুব্বী ও আহলে শুরা মাও. রবিউল হক।
আলোচনা পেশ করেন ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক মসজিদ ও মাদ্রাসার খতিব ও পরিচালক মুফতি আমানুল হক, বারিধারা মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি নাজমুল হাসান, ঢাকার শাহজাদী মিয়া লেন জামে মসজিদের খতিব মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী, ঢাকার মারকাজুদ দাওয়ার শিক্ষা সচিব মুফতি আবদুল মালেক, শেখ জাকারিয়া ইসলামি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মুফতি মিজানুর রহমান সাইদ প্রমুখ।
ওযাহাতী জোড়ে উপস্থিত তাবলীগ জামাতের সাথীগণের উদ্দেশে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, মাও. সাদ যতদিন পর্যন্ত তার বিতর্কিত মন্তব্য ফিরিয়ে না নিবেন ততদিন তার বাংলাদেশে আসা নিষেধ। বাংলাদেশে সাদপন্থীদের সকল কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। মাও. সাদ পূর্বের তিন হযরতজ্বী মাও. ইলিয়াস, মাও. ইউসুফ ও মাও. এনামুল হাসা রহ.-এর আকীদা থেকে সরে এসে নিজেকে আমীর দাবী করে মনগড়া আর ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারে লিপ্ত হয়েছেন।
তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নিযামুদ্দিনের যেসব আকাবির উলামায়ে কেরাম মারকায ছেড়ে চলে গেছেন তাদের সাথে সমস্যা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত তাকে বাংলাদেশে আসতে দেয়া হবে না। কাকরাইলের যেসকল শুরা সদস্যগণ মাও. সাদের ভ্রান্ত নীতিকে সমর্থন দিয়ে আমৃত্যু তার আকীদায় থাকার শপথ করেছেন তারা শুরা সদস্য থাকার অযোগ্য। ফলে তাদেরকে তাবলীগের কাজে শুরা ও ফয়সাল না রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সাদপন্থী সাথীগণের প্রতি তার কোন পরামর্শ ও নির্দেশনা এদেশে প্রচার নিষিদ্ধ করা হলো। কাকরাইলের মসজিদ থেকে মুুরুব্বীগণের নির্দেশে ইজতেমা, জোড় এবং মারকায পরিচালিত হবে। চলমান সমস্যা নিরসনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সকলে প্রতি আহ্বান জানানো হয়। আগামী ৭, ৮, ৯, ১০ ও ১১ ডিসেম্বর এবারের পাঁচদিনের জোড় অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া এ বছর আর কোন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে না। ২০১৯ সালের টঙ্গী ইজতেমার জন্য নির্ধারিত ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি তারিখে প্রথম পর্ব এবং ২৫, ২৬ ও ২৭ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে সাদ অনুসারীরা ফেনী জেলায় ইজতেমার ঘোষণা দেন যা তাবলীগ জামাতের উসূল ও প্রচলিত আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ। ওযাহাতী জোড় থেকে এর তীব্র নিন্দা জানানো হয়।
মাও. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে ও মাও. নুরুল ইসলাম আদিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মুফতি রহিমুল্লাহ কাসেমী, মুফতি হাবিবুর রহমান, মাও. জাফর আহমদ চৌ. মাও. আবুল কাসেম, মুফতি ইউসুফ কাসেমী, মুফতি আহমদুল্লাহ কাসেমী, মাও. খলিলুর রহমান, মুফতি শহীদুল্লাহ, মাও. মুফতি ইলিয়াস বিন নাজেম, মাও. মীর হোসেন, মাও. ওমর ফারুক প্রমুখ। ওযাহাতী জোড়ে ফেনী জেলার তাবলীগের সাথীগণ, আলেম, ও ওলামা-মাশায়েখ এবং বিভিন্ন স্তরের ইমাম খতিব ও ফেনী জেলার মুরুব্বীগণ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন