পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বেনাপোল বন্দর থেকে কোন মালামাল খালাশ হয়নি। শ্রমিকরা বন্দর থেকে আজও ভারতে কোন পণ্য রফতানি হতে হয়নি। তবে বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দরে সব ধরনের কাজ চলছে স্বাভাবিক নিয়মে। পরিবহন ধর্মঘটে গত দু দিনে সরকার ৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে মালামাল ওঠানামাও বন্ধ রয়েছে। ভারতের সাথে স্বাভাবিক রয়েছে দেশের আমদানি বাণিজ্য ।
ভারত থেকে আসা শতশত পাসপোর্ট যাত্রী আটকা পড়েছে বেনাপোল চেকপোস্টসহ বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারে। এতে দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে নারী শিশু বৃদ্ধসহ রোগী যাত্রীরা। অনেকেই আবার বিকল্প ব্যবস্থায় ভ্যান, রিকশা, ট্যাম্পু ও রেলে করে আত্মীয় সজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে। আবার স্থানীয় আবাসিক হোটেলও পরিবহন কাউন্টারে অবস্থান করতে দেখা গেছে তাদের। তবে বেনাপোল থেকে দুর পাল্লার কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি। বেনাপোল বন্দর এলাকায় কয়েক’শ রফতানি পণ্য বোঝাই ট্রাক ভারতে রফতানির অপেক্ষায় আটকে আছে বন্দর এলাকায়।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার জানান, পরিবহন ধর্মঘটে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য স্বাভাবিক থাকলেও বন্ধ রয়েছে রফতানি বাণিজ্য। দু দিনের পরিবহন ধর্মঘটে সরকারের ৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত সরকার। তবে ভারতে পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার অব্যাহত আছে। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক প্রদ্যুত কান্তি দাস জানান,পরিবহন ধর্মঘটের কারনে বাংলাদেশ থেকে কোন পণ্য রফতানি হয়নি ভারতে। তবে আমদানি বাণিজ্য স্বভাবিক রযেছে। অব্যাহত আছে। সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত ১২০ টি পণ্য বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন