বান্দরবানের লামার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কুমারী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পাহাড় কাটা চলছে। পাহাড় কাটায় জড়িতদের এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার এনফোর্সমেন্ট টীম গত রোববার সন্ধ্যায় লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নূর-এ-জান্নাত রুমি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলার সহকারী পরিচালক সাইফুল আশ্রাব জানান, লামা উপজেলার কুমারী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে। ২ মাস আগেও একই স্থানে পাহাড় কাটার অপরাধে ৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তবুও পাহাড় কাটা অব্যাহত রয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে পাহাড় কাটা বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় জড়িত একজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয়রা বলছেন, ৪/৫ মাস ধরে মেইন রোডের পাশে স্কেভেটর ও ড্রেজার দিয়ে পাহাড় কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২টি স্কেভেটর ও ২টি ড্রেজার দিয়ে ৬/৭টি পাহাড় কেটে সমান করা হয়েছে। এভাবে পাহাড় কাটা অব্যাহত থাকলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। ঘটবে মারাত্মক ভূমিধস। জরিমানা করে পাহাড় কাটা বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে তারা জানান।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, পাহাড় কাটার সাথে প্রশাসনের কিছু লোক জড়িত। উচ্চ পর্যায়ের কোন কর্মকর্তা আসার আগে পাহাড় খেকোরা সতর্ক বা খবর পেয়ে যায়। তারা স্কেভেটর ও ড্রেজার সরিয়ে ফেলে। পরে প্রশাসনের লোকজন এসে নামমাত্র জরিমানা করে চলে যায়। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, জরিমানা দিলেও কি পাহাড় কাটা বৈধ? উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, পাহাড় কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। আবার কাটলে জরিমানা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন