দেশের সড়ক উন্নয়নের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের মীরসরাইস্থ অফিস সংলগ্ন স্থানের পাহাড় কেটে সড়ক উন্নয়নের কাজ করছিল। ইতিমধ্যে একটি টিলা প্রায় সাবাড় ও করে দিয়েছে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী ও গনমাধ্যমকর্মিরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য কাটা টিলা ও স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্য নিতে চাইলে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।
স্থানীয়দের অভিযোগে ও সরেজমিনে পরিদর্শনে জানা গেছে সড়ক ও জনপথ এবং জাইকার বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘কনকর্ড প্রগতি কন্সোটিয়াম লিমিটেড (সিপিসিএল)’ দীর্ঘদিন এই এলাকার বিভিন্ন রুটে কাজ করছিল। আর তাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ্ববর্তি মীরসরাই উপজেলার মস্তাননগর এলাকায় তাদের লোকাল ক্যাম্প ও ইয়ার্ড স্থাপন করেছে বেশ কিছুদিন আগে। বর্তমানে ও বারইয়াহাট- রামগড় সড়কে জাইকার প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি পুল ও কালভার্ট নির্মান কাজ করছে। মস্তাননগরস্থ উক্ত ক্যাম্প এর বিস্তীর্ণ বাউন্ডারীর ভেতরেই রয়েছে একটি টিলা আকৃতির পাহাড়। স্থানীয় শহিদ মেম্বার সহ এলাকাবাসী জানায় সম্প্রতি করেরহাট সড়কে কয়েকটি কালভার্ট নির্মানের জন্য ডাইভারশেন সড়ক নির্মান হয়। আর উক্ত ডাইভারশেন সড়কের সকল মাটি এই পাহাড় কেটে নিয়ে যায় সিপিসিএল কর্মীরা। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীরা ও গিয়ে দেখে সিপিসিএল কার্যালয়ের পার্শ্বেই সম্প্রতি কাটা পাহাড়ের অবশিষ্টাংশ।
এই বিষয়ে সিপিসিএল এর স্থানীয় ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা জানতাম না নিজেদের মালিকানা পাহাড় হলে ও প্রশাসন এবং পরিবেশের অনুমতি লাগে বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না।
এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি আজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। অতঃপর গত ১৫ মে বুধবার তাৎক্ষনিক তিনি উক্ত সিপিসিএল এর এর ইয়ার্ড এলাকা পরিদর্শন করে উক্ত পাহাড় কাটার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এছাড়া তিনি এই বিষয়ে আইনগত বিষয়াদি ও প্রক্রিয়াধিন রাখেন। এই বিষয়ে ১৬ মে বৃহস্প্রতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মাঈদুল ইসলাম বলেন আমরা শীঘ্রই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় সকল আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এছাড়া জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মজিবুল হক জানান, উক্ত সিপিসিএল একটি বারমাসি ছরাকে ও বন্ধ করে গ্রামের আড়াইশ পরিবারের প্রায় সহ¯্রাধিক মানুষকে পানিবন্ধী করার চেষ্টা করছে। এতে প্রায় ৮০ একর আবাদী জমির ফসল বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার স্বীকার হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন