প্রশ্ন : মুমিন জিন্দেগীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য কি কি?
উত্তর : মুমিন জিন্দেগীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল মহব্বত ও দয়া। এবং আমানত রক্ষাকরা। এ জন্য মুমিনকে মহব্বত ও দয়ার প্রতীক বলা হয়। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই সৎকর্মশীল মুমিনদের জন্য দয়াময় আল্লাহ তাদের জন্য (মানুষের অন্তরেও) মহব্বত পয়দা করে দেন। (সূরা মরিয়ম : আয়াত ৯৬)। নূর নবীজী (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মুমিন মহব্বত ও দয়ার প্রতীক। ঐ ব্যক্তির মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, যে কারো সাথে মহব্বত রাখে না এবং মহব্বত প্রাপ্ত হয় না’ (মুসনাদে আহমাদ)। অবশ্যই এই ভালবাসা হবে নিতান্তই আল্লাহ তায়ালার জন্য। অন্য হাদীসে ইরশাদ হয়েছে ‘ওই ব্যক্তি তার ঈমানকে দৃঢ় করল যে কাউকে ভালবাসল আল্লাহর জন্য, কাউকে ঘৃণা করল আল্লাহর জন্য, কাউকে কোন কিছু দিল আল্লাহর জন্য আর কাউকে কোন কিছু দেয়া হতে বিরত থাকল কেবল আল্লাহর জন্য’ (তিরমিজি)। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে সফল মুমিন হওয়ার তাওফিক দিন। আমিন।
সূরা আনফালের ২৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তোমাদের উপর ন্যস্ত আমানতের খিয়ানত করো না। অথচ তোমরা এর গুরুত্ব জান।’ আসলে মুমিন চরিত্রে খিয়ানতের কোন স্থান নেই, তিনি বরাবরই রক্ষক হবেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমার মধ্যে চারটি জিনিস থাকে তবে পার্থিব কোন জিনিস হাত ছাড়া হয়ে গেলেও তোমার ক্ষতি হবে না। ১. আমানতের হিফাজত; ২. সত্য ভাষণ; ৩. উত্তম চরিত্র; ৪. পবিত্র রিযিক।’ (আহমাদ।) অন্য হাদীসে বলা হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি নবী করিম (সা.) হতে বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি তোমার নিকট আমানত রেখেছে তার আমানত তাকে ফেরৎ দাও যে ব্যক্তি তোমার আমানত আত্মসাৎ করে তুমি তার আমানত আত্মসাৎ করো না।’ (তিরমিজী, আবু দাউদ।) মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট হল সে আমানতের রক্ষণাবেক্ষণকারী। মুমিন কখনো খেয়ানতকারী হতে পারে না। এটা মুমিনের চরিত্রের বিপরীত কাজ।
উত্তর দিচ্ছেন : এ. কে. এম. ফজলুর রহমান মুন্শী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন