শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সম্পাদকীয়

মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর অনন্য খুৎবাগ্রন্থ

খালেদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী | প্রকাশের সময় : ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

শুক্রবার সমগ্র মুসলিম উম্মার জন্য সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এ পবিত্র দিনে জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজের পূর্বে আরবীতে দুইটি খুৎবা পাঠের রীতি মহানবী (সা.) কর্তৃক প্রবর্তিত, মুসলিম দুনিয়াসহ সমগ্র মুসলমানদের মধ্যে এযাবত প্রচলিত ও অনুসৃত হয়ে আসছে। জুমায় আরবীতে খুৎবা দেয়ার পূর্বে ইমাম ও খতিবগণ মসজিদে উপস্থিত শ্রোতা মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বয়ান-ভাষণ প্রদান করে থাকেন। বাংলাদেশেও এ রীতি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এসব বয়ান-ভাষণে ইসলামের নানা বিষয়ের উল্লেখ থাকে বলে এগুলোও জুমার খুৎবা নামে খ্যাত। আরবী খুৎবাগুলোর বাংলা অনুবাদ অধিকাংশ মূল খুৎবা গ্রন্থগুলোতে আরবীর নিচে থাকে। আরবী খুৎবা পাঠের পূর্বে ইমাম-খতিবগণ ইসলামের নানা বিষয়ের উপর ওয়াজ-বয়ান করে থাকেন, সেগুলোর কোনো সংকলন বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। তবে ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম প্রকাশিত ঢাকার বিখ্যাত মসজিদ-এ গউছুল আযমের জুমাবারে প্রদত্ত আলহাজ্ব এম এ মান্নান (রহ.) এর প্রদত্ত বয়ানসমূহের একটি সংকলিত গ্রন্থের নাম ‘সিরাতুল মুসতাকীমের সন্ধানে’ এখন বাজারে দুর্লভ। জুমার খুৎবার ইতিহাসে বাংলা ভাষায় এটি এক অনন্য-অসাধারণ গ্রন্থ। নতুনত্ব, স্বাতন্ত্র্য এবং বৈশিষ্ট্য, এর এক ব্যতিক্রমী দিক। গ্রন্থে বিধৃত বিষয়বস্তুগুলো পাঠ করলে একদিকে যেমন খতিব হিসেবে মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর ইসলামী জ্ঞানবিশালতা, পারদর্শিতা এবং গভীর গবেষণা-সাধনার প্রকৃষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়, তেমনি অপরদিকে সময় উপযোগিতা ও বিষয়বস্তু চয়নে এক দক্ষ উদ্ভাবক হিসেবে তার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি একজন সুদক্ষ ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ হওয়া সত্তে¡ও দেশীয় রাজনীতির গন্ধও তার জুমার বয়ানগুলোতে ছিল না। তিনি সচেতনভাবে রাজনীতি হতে এসব বয়ান মুক্ত রাখতে সিদ্ধহস্ত ছিলেন এবং সেগুলোতে তার আত্মপ্রচারণার লেশমাত্র ছিল না। তার জুমার বয়ানগুলোর সম্পূর্ণ জবানী মুখস্ত শক্তিতে প্রদত্ত হতো। লিখিত আকারে কিছুই থাকত না বলা যায়। এতে তার অসাধারণ প্রতিভা ও বিস্ময়কর ধীশক্তির পরিচয় পাওয়া যায়। বাংলা ভাষায় মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর ‘সিরাতুল মুসতাকীমে সন্ধানে’ এক ও অদ্বিতীয় গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত।
আগেই বলা হয়েছে যে, ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে এই গ্রন্থের প্রথম পর্বটি প্রকাশিত হয়। রয়েল সাইজের সাদা কাগজে ৩৬৮ পৃষ্ঠায় সমাপ্ত এই গ্রন্থে সর্বমোট ৯৬টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১৩-৮৬ পৃষ্ঠা পর্যন্ত ২৩টি বিষয়ে মহান আল্লাহ ও তৌহিদ সম্পর্কিত এবং ৮৯ হতে ১৫৪ পর্যন্ত ১৭টি বিষয় মহানবী (সা.) সংক্রান্ত। তার মোজেযা ও তার শানে আরও কয়েকটি লেখা ছাড়াও রয়েছে শাবান, শবে-বরাত, মাহে রমজান, তারাবীহ, ইতেকাফ, লাইলাতুল কদর, রমজানের তোহফা আল কুরআন, যুগে যুগে ঈদ, জিয়ারতে মদিনা মনওয়ারা, ইসলামে যাকাতের বিধান এবং কুরবানীসহ ইসলামের নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ভিত্তিক লেখা। বর্ণিত বিষয়সূচি হতে এ গ্রন্থের গুরুত্ব ও বৈশিষ্ট্য সহজেই অনুধাবন করা যায়।
‘সিরাতুল মুসতাকীমে সন্ধানে’ প্রকাশনা সম্পর্কে ইনকিলাবের নির্বাহী সম্পাদক মাওলানা কবি রুহুল আমিন খান ‘প্রসঙ্গ কথা’য় যা উল্লেখ করেছেন তা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। তিনি সংক্ষেপে মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর কর্মবহুল জীবনের বিভিন্ন দিকের উপর আলোকপাত ও তার অমর কীর্তিমালার কথা তুলে ধরে বলেছেন: বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই মহান ব্যক্তির আরেকটি পরিচয় তিনি এদেশের একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেমেদ্বীন। কুরআন, হাদীস, ফিক্হ ইত্যাদি ক্ষেত্রে তার জ্ঞান ও অধিকার অপরিসীম, কর্মজীবনের প্রথম দিকে মাদরাসায় অধ্যাপনা করেছেন তিনি দীর্ঘদিন। ইলমী জটিল বিষয়সমূহ তিনি আলোচনা করেন সাবলীল হৃদয়গ্রাহী ভাষায়।
ঢাকার মহাখালীতে মসজিদে গওছুল আজম প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে তিনি প্রতি শুক্রবার জুমার পূর্বে খুৎবা-বয়ান দিয়ে আসেন নিয়মিতভাবে। তার প্রজ্ঞাপূর্ণ ও আকষর্ণীয় বয়ান শোনার জন্য দূর দূরান্ত থেকে মসজিদে এসে ভীড় জমান ইসলামী জ্ঞানপিপাসু শ্রোতামন্ডলী। সেসব বয়ান ক্যাসেটবদ্ধ করা হয়। দেশের একজন স্বনামখ্যাত মাওলনা একে এম ফারুক তা লিপিবদ্ধ করেন এবং দৈনিক ইনকিলাব-এর ধর্মদর্শন পাতায় নিয়মিত প্রকাশিত হয়। তৌহিদ, রিসালাত, আমল, আখলাক, এবাদত-বন্দেগী, তরিকা-তাসাউফ ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে সমসাময়িক ঘটনা পর্যালোচনা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোচিত এবং প্রকাশিত সেই সব মূল্যবান বিষয় গ্রন্থাকারে পাওয়ার জন্য শ্রোতা এবং পাঠকদের নিকট থেকে দাবি উত্থাপিত হয়। সে দাবি পূরণের তাগিদ থেকে এই গ্রন্থের প্রকাশ। ‘সিরাতুল মুসতাকীম এর সন্ধানে’ গ্রন্থের প্রথম লেখাটি বিসমিল্লাহে ইতিহাস এবং দ্বিতীয় শিরোনাম হচ্ছে হযরত সুলায়মান (আ.) এর চিঠি। মাওলানা মরহুমের পান্ডিত্যপূর্ণ প্রজ্ঞাময় লেখা হতে আমরা সম্মানিত পাঠকবর্গের অবগতির জন্য অমূল্য উপহার হিসেবে অংশ বিশেষ সংকলিত করে দিচ্ছি। তার লেখা উপস্থাপনা নমুনা দেখা যাক:
‘হযরত সুলায়মান (আ.) এর যে চিঠির কথা পাক কোরানে আলোচিত হয়েছে তার আলোকেই আমরা সভ্যতার ইতিহাসে রাষ্ট্র, রাজনীতি, বিচার ও শাসনের এই মহান অগ্রপথিকের আচরিত রীতিনীতি সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারি।
পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হযরত সোলায়মান (আ.) এর পত্র শুরু করা হয়েছে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম দিয়ে’। ইসলামী জীবন আদর্শের আলোকে একথা স্বত:সিদ্ধ যে, মুসলমানের সকল কাজ বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি উদ্যোগ শুরু হওয়া উচিত আল্লাহপাকের নাম দিয়ে। হযরত রাসুল এ করিম (সা.) বলেছেন, গুরুত্বপূর্ণ কাজটি বিসমিল্লাহ ছাড়া শুরু করা হলে পরিণতিতে তা অপূর্ণাঙ্গ ও অসফল থাকে। হযরত সুলায়মান (আ.) এর পত্রে এ মহান শিক্ষার দৃষ্টান্ত দেখতে পাই। বিশ্ব মুসলিমের উচিত, তাদের রাষ্টীয় কার্যক্রম, কূটনৈতিক তৎপরতা, সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সর্বত্রই বিসমিল্লাহর এ বরকতময় ধারা অনুসরণ করা।
‘আধুনিক যুগে গোয়েন্দা বিভাগ ছাড়া কোনো রাষ্ট্র ও শাসন ব্যবস্থা কল্পনাও করা যায় না। হযরত সুলায়মান (আ.) অসাধারণ সাম্রাজ্য ব্যবস্থাপনায়ও আমরা দেখতে পাই কার্যকর গোয়েন্দা ব্যবস্থাপনা। গোপন সংবাদ সংগ্রহ ও কর্তৃপক্ষের কাছে তা সরবরাহ করার জন্য সেখানে জ্বীন ও মানুষের পাশাপাশি নানা প্রজাতির প্রাণীরাও নিয়োজিত ছিল বলে জানা যায়।’ পৃষ্ঠা: ১২
একই নিবন্ধে অনুরূপ গুরুত্বপূর্ণ নানা কথা ছাড়াও হযরত সোলায়মান (আ.) এর কুরআনে বর্ণিত চিঠিখানা উদ্ধৃত করা হয়েছে। নিবন্ধের শেষভাগে বলা হয়েছে: ‘বিশ্বের ইতিহাসে রাজা-বাদশাহদের যে সকল পত্রাবলীর সন্ধান পাওয়া যায়, এই পত্র সেগুলি থেকে ভিন্নতর এবং এতই উন্নত পর্যায়ের যে, তার কোনো তুলনাই হয় না। রাষ্টীয় সংবিধান ও রাজকীয় ফর্মানাদিতে বিসমিল্লাহ-এর ব্যবহারের শিক্ষা অতি পুরতান ও চিরন্তন। এর বিকল্প কোনোও নজির ইতিহাসে পাওয়া যায় না।’ পৃষ্ঠা: ১৬
মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.)-এর প্রতিটি রচনা, প্রতিটি বয়ান-রচনা এরূপ গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যসমৃদ্ধ এবং সরাসরি বা পরোক্ষভাবে নানা প্রশ্নের যুক্তিপূর্ণ জবাব এবং শিক্ষণীয় ও অনুসরণীয় অনেক কিছু তার লেখাগুলো পাঠ করলে জানা যাবে। প্রাসঙ্গিকভাবে এতে নবী রসুলগণের, মহানবী (সা.) এর, সাহাবা একরামের এবং ওলামা মাশায়েখের নানা উপদেশমূলক আদর্শিক কথামালা। তার অভিজ্ঞতালব্ধ চিন্তা-ভাবনার ভিত্তিতে তিনি কুরআন হাদীস এবং ইতিহাসের আলোকে এমন চমৎকারভাবে বিষয়গুলোকে সমন্বয় সাধন করেছেন যে তা অতীব মনোমুগ্ধকর ও হৃদয়গ্রাহী এবং তুলনাহীন।
একজন প্রতিভাশালী ইসলামী চিন্তাবিদ ও অভিজ্ঞ আলেম এবং বিশ্ব জগৎ সম্পর্কে সচেতন ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ হিসেবে তার জুমার খুৎবাগুলো মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত এবং পরিস্থিতি আলোকে সেগুলো রচিত ও পঠিত। রাজনীতিবর্জিত এইসব বয়ান তথা খুৎবায় চলমান বিশ্ব পরিস্থিতির প্রতিফলনও বিদ্যমান। সময়ের চাহিদা অনুযায়ী কুরআন হাদীস এবং ইতিহাস হতে দৃষ্টান্ত ও প্রমাণ উপস্থাপনে তিনি অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
‘মা-বাপের সাথে সুসম্পর্ক ও আনুগত্যের মধ্যে রয়েছে অনাবিল শান্তি’- এ পর্যায়ের সন্তানদের বিপদগামিতা, বিভ্রান্ত হওয়ার আশংকা হতে সন্তানদের কীভাবে রক্ষা করা যায় তিনি সেই বিষয়ের উপরে বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তার উক্ত রচনা হতে খানিকটা তুলে ধরলে আমাদের বক্তব্যের যথার্থতা অনুধাবন করা যাবে। উক্ত খুৎবার শুরুতে তিনি বলেছেন: ‘শান্তি আমরা সবাই চাই। শান্তির অন্বেষায় সারাবিশ্ব বিভিন্ন পথ খুঁজছে। জাতিসংঘ বলুন, ওআইসি বলুন, আরব লীগ বলুন, সার্ক, সাফটা গঠন সবই শান্তির জন্য। হাজার হাজার কোটি ডলার, পাউন্ড, দ্বীনার খরচ করা হচ্ছে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি, আর্ন্তদেশীয় চুক্তি সবই শান্তির জন্যে। আইনকানুন, কোটকাচারি, আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য। অর্থাৎ বিশ্বের প্রতিটি মানুষ, শান্তির জন্য উন্মাদ হয়ে ঘুরছে। কোটি কোটি ডলার খরচ করছে শান্তির জন্য। প্রতিদিন সকালে খবরের কাগজ খুললেই দেখতে পাই দেশে দেশে, ঘরে ঘরে, শুধু অশান্তির আগুন দাউ দাউ করে জ¦লছে। আল্লাহ ও রসুল (সা.) শান্তির যেই পথ দেখিয়েছেন এর বাইরে শান্তির কোনো পথ নেই। অর্থাৎ মানবরচিত ফর্মুলার দ্বারা শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যর্থ চেষ্টা। মানুষের জ্ঞান কখনও পূর্ণাঙ্গ হতে পারে না। আর অপূর্ণাঙ্গ জ্ঞান দ্বারা বিশ^ সমস্যার পূর্ণাঙ্গ সমাধান কখনও সম্ভব নয়। যতদিন আমরা মরীচিকার পেছনেই ঘুরতে থাকব, স্থায়ী শান্তি কোনো দিনই আমাদের ভাগ্যকাশে উদিত হবে না।
আল্লাহ পাকের হাবিব রাসুল এ পাক (সা.) আমাদের জীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বলে গেছেন- ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা করো তোমরা তোমাদের ঘরে। অর্থাৎ শান্তি হলো মা-বাপ ও তাদের সন্তানের সুসম্পর্কের মধ্যে। মা-বাপের সাথে যদি সন্তানের সুসম্পর্ক থাকে তাহলে ঘরে শান্তি আসবে। আর এভাবে যদি প্রতিটি ঘরে শান্তি থাকে তাহলে পাড়ায়-মহল্লায় শান্তি থাকবে আর পাড়ায়-মহল্লাহ শান্তি থাকলে দেশে শান্তি বিরাজ করবে।
মারামারি, কাটাকাটি, চুরি, রাহাজানি, ছিনতাই, জুলুম, নির্যাতন থাকবে না। বিশ্বটা হয়ে উঠবে নিরাপদ ও সুখ-শান্তিময়, একটি আরামদায়ক আবাস। সুখী-সমৃদ্ধ পরিবার গঠন করতে চাইলে প্রথমে যে বিষয়টি প্রয়োজন সেটি হলো একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও স্নেহ-মায়া-মমতা।’ পৃষ্ঠা: ৩১৯
মাওলানা এম এ মান্নানের (রহ.) ক্যাসেটবদ্ধ করা বয়ানগুলোর প্রথম পর্ব দেশের বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা ‘বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশনস’ কর্তৃক প্রকাশিত। বিগত শতকের শেষ দিকে ধর্মদর্শন পাতায় ক্যাসেট বদ্ধ করা কিছু কিছু বয়ান প্রবন্ধাকারে দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত হয়েছিল। হযরত মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর ইন্তেকালের পর এ যাবৎ তারই প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব পত্রিকার কোথাও তার রচনাবলীর অংশ বিশেষও প্রকাশিত হয়েছে বলে মনে হয় না। এই পর্যায়ে তার অগ্রছিত (ক্যাসেটবদ্ধ অবশিষ্ট বয়ান) রচনা প্রকাশিত হলে দেশ-জাতি ও ইসলামপ্রিয় জনগণ উপকৃত হবে বলে মনে করি। বয়ানগুলো ধারাবাহিকভাবে ইনকিলাবে প্রকাশিতও হতে পারে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
আবু নোমান ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:১৯ এএম says : 0
খালেদ সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী সাহেব একটা সুন্দর প্রস্তাব করেছেন।
Total Reply(0)
ইকবাল ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:২০ এএম says : 0
আশা করি দৈনিক ইনকিলাব বিষয়টি অত্যান্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবেন।
Total Reply(0)
আসাদ ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:২১ এএম says : 0
এতে করে দেশ, জাতি ও দেশের ধর্ম প্রাণ মুসলমানরা অনেক উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।
Total Reply(0)
তারেক মাহমুদ ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:২৭ এএম says : 0
মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর ব্যক্তিত্ব, একজন আলেম হিসেবে তার বিচক্ষণতা এবং বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ সব যুগের আলেমদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
Total Reply(0)
সফিক আহমেদ ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:২৯ এএম says : 0
আজকের আলেম সমাজের এই মর্যাদা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা, সাংগঠনিক ঐক্য, দ্বীন প্রতিষ্ঠার বাস্তবধর্মী চেতনার উন্মেষ সবকিছুতে রয়েছে মরহুম মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব।
Total Reply(0)
নাবিল আহমেদ ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:২৯ এএম says : 0
আল্লাহ তাকে জান্নাতের উত্তম স্থান দান করুক।
Total Reply(0)
এরশাদ ৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:৩০ এএম says : 0
মাওলানা এম এ মান্নান রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন একজন খ্যাতনামা মুহাদ্দিস।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন