রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

ভাগ্য পুড়ল আরামবাগের সেমিতে ঢাকা আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

নির্ধারীত ৯০ মিনিটের খেলা শেষে যোগকরা সময় ৪ মিনিটও শেষ। তারপরেও রেফারী সুজিত ব্যানার্জী চন্দন ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজাননি। ফলে এতেই ভাগ্য পুড়লো আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের। ম্যাচের যোগকরা সময়েরও এক মিনিট পরে (৯০+৫ মিনিট) গোল করে আরামবাগের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় তুলে নিলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। আর এ জয় তাদের পৌঁছে দিলো ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের সেমিফাইনালে।
গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে আবাহনী ৩-২ গোলে হারায় আরামবাগকে। বিজয়ী দলের হয়ে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা, মিডফিল্ডার সোহেল রানা ও হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট একটি করে গোল করেন। আরামবাগের পক্ষে দু’গোল করেন মিডফিল্ডার শাহরিয়ার বাপ্পি ও উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার ইকবালজন।

ফেডারেশন কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। কিন্তু কাল ম্যাচের ধারা অনুযায়ী জেতার কথা ছিলো আরামবাগেরই। দু’দফা তারা গোল করে এগিয়ে ছিলো। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিলো না বলেই শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হলোনা মতিঝিলের দলটির। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও দু’দফা পিছিয়ে পড়ে ঠিকই সমতা আনে আবাহনী। তবে আবাহনীর চেয়ে বেশ গোছালো ফুটবল খেলেছে আরামবাগ। ফলে ম্যাচের ৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। এসময় বাঁ প্রান্ত দিয়ে ম্যাথিউর ক্রস বক্সের মধ্যে বুক দিয়ে সামনে বল নামিয়ে দেন আরামবাগের আরেক ফরোয়ার্ড জুয়েল। সতীর্থের নামিয়ে দেয়া বলে শাহরিয়ার বাপ্পী আড়াআড়ি গড়ানো শটে গোল করেন (১-০)। ২৩ মিনিট পরে সমতায় ফেরে আবাহনী। হাইতিয়ান বেলফোর্টের শট আরামবাগের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম হিমেল প্রতিহত করেন। ফিরতি বলে নাইজেরিয়ান সানডে হেড করেন। সেই হেড গোললাইনের সামনে থেকে আরামবাগ ডিফেন্ডার প্রতিহত করলেও ফিরতি বলে সানডের প্লেসিং আর ঠেকাতে পারেননি গোলরক্ষক হিমেল (১-১)। সমতায় ফেরার তিন মিনিট পর জাতীয় দলের গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের ভুলে ফের পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে গতিময় বল বেরিয়ে যাচ্ছিল। ঠিক সেই মূহুর্তে আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার শাহরিয়ার বাপ্পিকে অবৈধভাবে বাধা দিলে রেফারি চন্দন পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে উজবেকিস্তানের ইকবালজন গোল করে আরামবাগকে দ্বিতীয়বার এগিয়ে নেন (২-১)। পিছিয়ে পড়ার হতাশায় আবাহনী সমর্থকরা যখন ঝিম মেরে বসে ছিলেন গ্যালারিতে, তখন স্বস্তি ফিরিয়ে আনেন সোহেল রানা। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে এই মিডফিল্ডার বক্সের অনেক বাইরে থেকে দূর্দান্ত এক শটে সরাসরি নিশানা ভেদ করেন (২-২)। আরামবাগের গোলরক্ষক হিমেল কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি। সমতার আনন্দ নিয়ে বিরতিতে যায় আবাহনী।

দ্বিতীয়ার্ধের সময়টা বেশ ম্যাড় ম্যাড়েই ছিল। গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোন দলই। কিন্তু খেলা যখন নিশ্চিত অমিমাংসিত শেষ হওয়ার পথে তখন ম্যাচের যোগকরা সময়ে গোল করে চমকে দেন আবাহনীর বেলফোর্ট। নাবীব নেওয়াজ জীবনের দারুন এক থ্রু পাসে প্লেসিং করে আবাহনীকে সেমিফাইনালে তুলেন এ হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড (৩-২)। গোলের সঙ্গে সঙ্গেই ম্যাচ শেষের বাশিও বাজান রেফারি। ম্যাচ শেষে রেফারি সুজিত ব্যানার্জি চন্দনের উপর চড়াও হন আরামবাগের সমর্থকরা। এসময় তারা আইস বক্স নিয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন। সহকারী রেফারি নুরুজ্জামান এবং হারুন অর রশিদও বাদ যাননি তাদের আক্রমণ থেকে। তিনজনের উপরেই আইস বক্স ছুঁড়ে মারেন সমর্থকরা। অবশ্য কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তা কর্মীরা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। রেফারিদের মাঠ থেকে বের করে নিয়ে যান। আরামবাগ সমর্থকদের দাবী রেফারি এক মিনিট বেশী খেলিয়েছেন। ওই সময়ে আবাহনীর হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্টের করা গোলটি ছিলো অফসাইড। অথচ রেফারি তা এড়িয়ে গেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন