চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদারের মায়ের কিডনী প্রতিস্থাপনের সময় ভুল চিকিৎসায় মারা যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ কেন নয় তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে কিডনী অপারেশনের সম্পৃক্ত চিকিৎসকদের পেশাগত লাইসেন্স বাতিলের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে কিডনী কেটে ফেলে রওশন আরার মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করে মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম.আসাদুজ্জামান, সঙ্গে ছিলেন মোঃ আনিসুল হাসান ও মোঃ শাহীনুজ্জামান। পরে আসাদুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরনের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রুল দিয়েছেন। এর মধ্যে কিডনি অপসারনকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, এর সঙ্গে সম্পৃক্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক শিকদারের মায়ের অসুস্থ কিডনি কেটে ফেলতে গিয়ে সুস্থ কিডনিও ফেলেছেন ডাক্তার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কমর্রত অভিযুক্ত ওই ডাক্তারের নাম হাবিবুর রহমান দুলাল। তিনি ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক। ভুল চিকিৎসায় নিজের মায়ের দুটি কিডনি হারানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করেন পরিচালক রফিক শিকদার। তার অভিযোগ, মায়ের একটি কিডনিতে অপারেশন করতে গিয়ে ভালো কিডনিও কেটে ফেলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক। তার দাবি, চিকিৎসক হাবিবুর রহমান লিখিতভাবে অপরাধ স্বীকার করে তাদের সঙ্গে চুক্তি করেন যে, নিজ খরচে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপন করে দেবেন। কিন্তু তিনি কালক্ষেপণ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন