তালতলীতে এক চেয়ারম্যানের হাতে আরেক চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত হয়েও হাজতবাস করছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর রাতে তালতলীর নিশানবাড়িয়ায় শুভ সন্ধা সমুদ্রসৈকতে রাখাইনদের জোছনা উৎসব অনুষ্ঠানের শুরুর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছোটবগী ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুজ্জামান তনু বাড়ি ফেরার সময় নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজি তার লোকজন নিয়ে তনুর পথ রোধ করে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করলে তিনি বাদি হয়ে তালতলী থানায় দুলাল ফরাজিকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে পুলিশ দুলাল ফরাজিকে আটক করে জেল হাজতে পাঠান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায়, তালতলী উপজেলার ইউনিয়নের নলবুনিয়া শুভ সন্ধা সমুদ্রসৈকতে বরগুনা জেলা প্রশাসক কতৃক আয়োজিত রাখাইনদের জোসনা উৎসব পালনের নিমিত্তে গত ২৩ নভেম্বর রাতে এক বর্নাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এবং প্রধান অতিথি হিসেবে বিভাগীয় কমিশনারের উপস্থিতি থাকার সম্মতি প্রাপ্ত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজি। দুলাল ফরাজির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে শুরুর আগেই প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয়। এতে ঈর্ষান্বিত হন তনু। দুলাল ফরাজির সাথে তনুর পূর্বশত্রুতা রয়েছে। উভয়ই আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন। জোছনা উৎসব সুষ্ঠুভাবে উৎযাপিত হলে দুলাল ফরাজির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়, তিনি হাই-লাইটেড হন, এই আশঙ্কায় দুলাল ফরাজিকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তনু পরিকল্পিতভাবে দলবল নিয়ে দুলাল ফরাজিকে মারধর করে। এ সময় দুলাল ফরাজির সচিব, চৌকিদার, মেম্বাররা তাকে বাঁচানোর জন্য ছুটে গেলে তারাও নির্যাতনের স্বীকার হন। এ সময় তনু ও দুলালকে দুই দিকে সরানোর সময় হয়তো বা তনুর নাকে কারো হাতে আঘাত পান। আর এ টাকে পুঁজি করে দুলাল ফরাজির বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন