শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

লালমনিরহাটে মধ্য হেমন্তেই তীব্র শীত

লালমনিরহাট জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মধ্য হেমন্তেই দেশের উত্তরের লালমনিরহাট সীমান্তবর্তী এলাকায় জেঁকে বসেছে শীত। রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশা। শীতকাল আসার আগেই তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে শীতের।
ফলে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে, সেভাবে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কারণ হাসপাতালে পর্যাপ্ত লোকবল ও ওষুধের অভাব রয়েছে। শীত নিবারণ করতে খড়-কুটা জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে লালমনিরহাটে গত বছর আন্তত ২৫/৩০ মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। পুড়ে গেছে শতাধিক বসতবাড়ি। এ বছরও শীত বাড়ার সাথে সাথে অগ্নিদগ্ধের ঘটনা আরো বাড়তে পারে।
লালমনিরহাটে বসুন্ধরা এলাকার বাসিন্দা সোহরাব হোসেন বলেন, গত কদিন ধরে বেশ কুয়াশা পড়ছে। গায়ে গরম কাপড় জড়াতে হচ্ছে। যেভাবে ঠান্ডা জেঁকে বসছে তাতে তীব্র শীত আসতে আর বেশী দেরি নেই।

লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাহেদুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর শীত রেকর্ড ভঙ্গ করেই চলেছে। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট জেলায় শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। সচেতনতার অভাবে অধিকাংশ সময় আগুন পোহাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। শীতকালে নারীরা ওড়না, চাদরসহ শরীরে নানা ধরনের ভারি পোশাক পরে আগুন পোহাতে যান। একটু অসতর্ক হলেই কাপড়ে আগুন ধরে প্রাণহানি ঘটে।

লালমনিরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কাশেম আলী বলেন, রাতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা ও ঘন কুয়াশা। ফলে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালে। এছাড়াও অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে কোন বার্ন ইউনিট নেই। যদিও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি বার্ন ইউনিট আছে। কিন্তু যে হারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সেভাবে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর কারণ পর্যাপ্ত লোকবল ও ওষুধের অভাব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন