প্রশ্ন: আজান এর উত্তর দেওয়ার ব্যাপারে হাদীসের বিধান কী? কোন কোন কাজের সময় আজানের উত্তর দেয়া উচিত নয়?
উত্তর : একটি হাদীস শরিফে মহানবী সা. বলেছেন, আজান শুনলে মুয়াজ্জিন যা বলে তাই বলো। এ ধরনের আরও হাদীস আছে। সব হাদীসের আলোকে এ বিষয়ে পূর্ণ সুন্নত আমল হলো নি¤œরূপ: মুয়াজ্জিনের মতোই প্রতিটি বাক্য মনে মনে উচ্চারণ। হাইয়া আলাস সালাহ ও হাইয়া আলাল ফালাহ এর স্থলে বলতে হবে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। মুয়াজ্জিন সাহেব ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ বলার সময় ঠিক এ কথাটিই শ্রোতাকেও বলতে হবে। শুধু ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ বললে হবে না। আজান শেষে মুয়াজ্জিনের ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এরপর শ্রোতাকে বলতে হবে ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’। এরপর আলাদা করে আবার দুরুদ শরিফ পড়া সুন্নত। সবশেষে আজানের দোয়া। আজানের জবাব মুখে দেওয়া সুন্নত তবে এর মূল জবাব হলো জামাতে শরিক হওয়া। কোনো জরুরি কাজের সময় জবাব না দিতে পারলেও গোনাহ নেই। পেশাব-পায়খানা করা অবস্থায় জবাব দেওয়া উচিত নয়। দীনি কাজে ব্যস্ত অনেক মানুষের মধ্যে একজন জবাব দিলেও আদায় হয়ে যায়।
প্রশ্ন: ঘুমানোর আগে এমন কি দোয়া পড়া যায় যে, ভালো স্বপ্ন দেখতে পারি? দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাওয়ার আমল কী করা যায়? দয়া করে বিস্তারিত বলবেন।
উত্তর : ঘুমানোর আগে এশার ফরজ, সুন্নত ও বেতের পড়বেন। রাতে বেশি দেরিতে ঘুমাতে যাবেন না। অজু না থাকলে ঘুমের আগে অজু করে নিন। সম্ভব হলে সূরায়ে মূলক তিলাওয়াত করুন। কিছু তাসবিহ-তাহলিল, দরুদ শরীফ পড়ে নিন। সূরায়ে ফাতিহা, চার কুল ইত্যাদিও পড়া ভালো। এরপর ডান কাত ও কিবলামুখী হয়ে ঘুমের দোয়া পড়ে শুয়ে পড়–ন। আয়াতুল কুরসি যদি সন্ধ্যায় পড়ে থাকেন ভালো, না পড়ে থাকলে ঘুমের আগে পড়ে নিন। সব শেষে মনে মনে আল্লাহর জিকির করতে করতে ঘুমে চলে যান। সুস্বপ্ন দেখতে পারেন, না হয় শান্তিদায়ক গভীর ঘুম হবে। দুঃস্বপ্ন আসবে না, যদি আসে তাহলে পাশ ফিরে শোন। আর কয়েকবার ‘লা হাওলা’ পড়ে নিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন