ঝুঁকিপূর্ণভাবে লোকজন বসবাস করা পাহাড়গুলোর তদারকি চলে ঢিমেতালে। পাহাড়গুলো দেখভাল করার দায়িত্ব নিয়েও আছে নানা জটিলতা। এসব পাহাড়ের মালিক ভূমি মন্ত্রণালয়। আবার পাহাড়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার দায়িত্ব পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের। এসব এলাকায় ঘরবাড়ি ও বস্তি নির্মাণের ব্যাপারে আপত্তি ও অনাপত্তি বিষয়টি তদারক করে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। ওই তিনটি সংস্থার যৌথ কোনো তদারকি নেই পাহাড়গুলোয়। এ জন্য পাহাড়গুলো দখল করে বস্তি ও ঝুপড়ি তৈরি করে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। স্বল্প ভাড়ার এসব ঝুপড়িতে বাস করছে গরিব অসহায় লোকজন। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় :২০০৭ সালে পাহাড় ধসে বিপুল প্রাণহানির পর পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তিনটি পাহাড়কে চিহ্নিত করেছিল। এগুলো হচ্ছে- বাটালি হিল, মতিঝর্ণা পাহাড় এবং ইস্পাহানি পাহাড়। এসব পাহাড়ের বাইরে আরও ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় আছে। এসব পাহাড়ের রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমন্বয় করতে হবে। দেখা যাচ্ছে, সরকারি এসব দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা। সচেতন জনগণ বর্ষার আগে পাহাড়ের পরিবেশ রক্ষা ও পাদদেশে বসবাসকারী জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দাবি করছি।
মাহমুদুল হক আনসারী
চট্টগ্রাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন