শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

নাটোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতিকে গ্রেফতার দাবি

নাটোর জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

নাটোরে চাঁদাবাজী অত্যাচারে অতিষ্ঠ একটি পরিবার জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমসকে গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের দক্ষিণ বড়গাছায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে পরিবারটি এই দাবী জানায়। 

সংবাদ সম্মেলনে স্কুল শিক্ষিকা রোজিনা খাতুন বলেন, নাটোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জেমস তার লোকজন নিয়ে পরিবারটির উপরে ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অত্যাচার চাঁদাবাজী অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন ভাবে ১৭লাখ টাকা চাঁদা নিয়েছে। তার হাত থেকে বাঁচতে থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে তাকে রাত ১১টা পর্যন্ত দাঁড় করিয়ে রাখে, এতে রক্তক্ষরণে বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। তাদের হুমকিতে স্কুল এখন নিয়মিত স্কুলে যেতে পারছেন না বলেও তিনি জানান।

গত শবে কদরের রাত্রে তার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েও চাঁদা আদায় করে। তার স্বামী মনিরুজ্জামান সেন্টু বালি সরবরাহের কাজ করে জয় ট্রেডিং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. শরিফের নিকট ৫৩ লাখ টাকা পাওনা হন। সে ২১লাখ টাকা দিয়ে বাকী টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। জেমস এর সহকারী রনি ও রিপন এই টাকা আদায় করতে তাদের দায়িত্ব দিতে বলে। তাদের দায়িত্ব না দেয়ায় পরে শরীফকে দিয়ে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে ৩২ লাখ টাকা পাওয়ার দাবী করে। এই দাবীতে তারা আমার গাড়ি দেড় মাস আটকে রাখে। দেড় মাস পরে র‌্যাবের সহযোগীতায় তারা গাড়ি ফেরত পান।

সর্বশেষ সোমবার আমাদের ট্রাক ছিনতাই করে। পরের দিন শহরের দক্ষিন বড়গাছা মোড়ে ট্রাক নিয়ে এসে বডি খুলে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিক্রি শুরু করে। সেখানে গিয়ে রোজিনা খাতুন ও তার বাবা-মা প্রতিবাদ জানালে দুটি পিস্তল ও লাঠিসোটা নিয়ে জেমস, রনি, রিপন, রুবেল, সালমান, হাসিবুল ও রাজিব তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে শিক্ষিকার ভাতিজা রিয়ন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা জেমসসহ অন্যদের ধাওয়া করে গণপিটুনি দিয়ে ৩ রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি পিস্তলসহ আটক করে। পুলিশ গিয়ে তাদের হাসপাতালে পাঠায় এবং জেমসকে বাঁচাতে ৩ রাউন্ড তাজা গুলিসহ পিস্তলটি পরিত্যক্ত দেখিয়ে মামলা করে।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল হাসান জেমস বলেন, মনিরুজ্জামান সেন্টু আমার আত্মীয়। তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হচ্ছে তার কোনটাই সঠিক নয়। মামলা সাজাতে বিভিন্ন কিছু বলা হচ্ছে। সেন্টুকে আমি ঠিকাদারী কাজ পাইয়ে দেয়ায় আমিই তার কাছে এখনো ২০লাখ টাকা পাই। এই টাকা না দেয়ার জন্যই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
জেমসের কাছ থেকে উদ্ধার করা পিস্তল কেন পরিত্যক্ত দেখিয়ে মামলা দিয়েছেন জানতে চাইলে নাটোর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন বলেছেন, মারপিটের ঘটনা বিকেল চারটার দিকে হলেও পুলিশ অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে গুলি ও পিস্তল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন