মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানা পুলিশ সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কাওসার ও মিল্টন নামে দুই ভাই হত্যা মামলার আসামী শহিদুল ইসলামকে স্ত্রীসহ আটক করেছে।
গত শনিবার রাতে বাসে করে ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া-পাকুটিয়া সড়কের উত্তর কাওন্নারা এলাকা থেকে স্ত্রীসহ তাকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া দুই ভাইকে হত্যা মামলার আসামী শহিদুল ইসলাম (৫৫)। সে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার কোদালিয়া গ্রামের মৃত: আ: রশিদের পুত্র।
সাটুরিয়া থানার ওসি মো: আমিনুল ইসলাম জানান, শনিবার রাতে সাটুরিয়া দিয়ে বাসে করে হত্যা মামলার আসামী পালিয়ে যাচ্ছে জেনে তাকে বাসের ভেতর যাত্রীরা আটক করে রাখে। পরে খবর পেয়ে তাকে স্ত্রীসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। চৌহালি থানায় খবর দেয়া হয়েছে সে খান থেকে পুলিশ আসছে। আটক হত্যা মামলার আসামীকে চৌহালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় মামা ও তার সহযোগীদের হামলায় দুই ভাই নিহত হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিল্টন হোসেন (৩২) নামে বড় ভাই মারা যায়।
এর আগে শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান ছোট ভাই স্থানীয় পশু ডাক্তার কাউছার হোসেন (২৩)। নিহত দুই ভাই উপজেলার পূর্ব কোদালিয়া দক্ষিণপাড়ার আন্তাজ আলীর ছেলে।
জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কাওসারের পরিবারের সঙ্গে মামা রফিকুল ইসলাম বকুলের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে উভয় পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই এক পর্যায়ে রফিকুল ইসলাম ও তার ভাইরা এবং তাদের লোকজন কাওসার ও তার ভাই মিল্টনকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটায়। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে কাওসার ও মিল্টনকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার ভোরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু পথে কাওসার ও দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় মিল্টন মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতদের মা হায়াতন নেছা বাদী হয়ে তার চাচাত তিন ভাই নাসির উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম বকুল, রফিকুলের স্ত্রী খাসপুকুরিয়া ইউপি সদস্য শিরিন সুলতানা ও আত্মীয় ইসরাফিল আলীকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন