শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ফুলপুরে জনপ্রিয়তা বাড়ছে আদর্শ বীজতলার

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) থেকে মো. খলিলুর রহমান | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ময়মনসিংহের ফুলপুরের সর্বত্র বোরো মৌসুমে আদর্শ বীজতলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। আদর্শ বীজতলায় উৎপাদিত ধানের চারা যে কোন বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করতে পারে। সুস্থ চারা উৎপাদন ও কোল্ড ইনজুরির ঝুঁকি কম। বীজতলা থেকে চারা তোলার সময় শিকড়ে মাটি ধরে না, ফলে চারাগুলোও কোন আঘাত পায় না। জমিতে রোপনের পর শতভাগ চারা জীবিত থাকে এবং অল্প সময়ে বেড়ে উঠে। চারা সবল থাকায় ধানের ফলনও ভালো হয়। স্থানীয় পদ্ধতির চেয়ে এ পদ্ধতিতে বীজ কম লাগে। ফলে খরচও কম।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, আদর্শ (কমিউনিটি) পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের জন্য প্রথমে শুকনো জমি ভালোভাবে চাষ করে জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হয়। এতে জমি প্রস্তুত হলে ২ হাত প্রস্থ এবং ইচ্ছে মতো দৈর্ঘ্য নিয়ে বেড তৈরি করতে হবে। মানসম্মত বীজ সংগ্রহ করে পানিতে ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে সেগুলো বীজতলায় সমানভাবে ছিটিয়ে দিতে হবে। বীজ ছিটানোর পরে ২৫-৩০ দিনের মধ্যে চারাগুলো রোপণের উপযুক্ত হয়।

এ বছর ফুলপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ২৪ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বিপরীতে হাইব্রিড ও দেশীয় জাতসহ ইতোমধ্যে প্রায় ১০০০ হেক্টর জমিতে ধানের বীজতলা করা হয়েছে। উপজেলার সিংহেশ্বর গ্রামের সিআইজি দলের কৃষক আবুল খায়েল জানান, স্থানীয় পদ্ধতির চেয়ে আদর্শ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করলে বীজ, শ্রম, সার ও সেচ খরচ কম লাগে এবং চারার মান ভালো পাওয়া যায়।

এনএটিপি›র প্রকল্পের আওতাধীন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সিআইজি দলের কৃষকরা জানায়, স্থানীয় সাধারণ পদ্ধতিতে যে জায়গায় ৫০ কেজি বীজের প্রয়োজন সেখানে আদর্শ পদ্ধতিতে ৩৫ কেজি বীজ লাগে। ফলে বীজতলা তৈরিতে খরচ কম হয়।
ফুলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষকদের কমিউনিটি (আদর্শ) বীজতলার বিষয়ে যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন