বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনা কুমিল্লার অংশে দুই বছরে ৭ শতাধিক প্রাণহানি

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম


ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ককে বলা হয় দেশের লাইফ লাইন। যানবাহনের বিপুল চাপে যানজটের তীব্রতা ও সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করতে দুই লেন থেকে এ মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীত করা হলেও কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা। গত দুই বছরে এ মহাসড়কে মৃত্যুর হার উদ্বেগজনক। গত দুই বছরে এ কুমিল্লা অঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে প্রায় সাত শতাধিক। প্রতিনিয়তই মৃত্যুর মিছিলে যোগ হচ্ছে একের পর এক যাত্রী এবং পথচারী। তাই এ মহাসড়কে চলাচলকারীরা সবসময়ই থাকেন আতঙ্কিত।
এদিকে মহাসড়কের কুমিল্লা অঞ্চলকে দুর্ঘটনামুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশ বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও বেপরোয়া চালক নিয়মভঙ্গের কারণে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। হাইওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ পর্যন্ত মহাসড়কে ২০১৭ সালে ৪০৩টি দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ৩৮৯ যাত্রী। ২০১৮ সালে ২৫২টি দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১৭৫ যাত্রী। দুর্ঘটনায় মৃতদের কেউ কেউ ঘরের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, আবার কখনও একই পরিবারের সবারই প্রাণ যাচ্ছে এ সড়কে। এমন মৃত্যুগুলো যাত্রীদের মাঝে আতঙ্কই বাড়াচ্ছে দিন দিন। দেশের ব্যস্ততম এ মহাসড়কে দুর্ঘটনার হার কমাতে কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ নানামুখী পদক্ষেপ এবং তৎপরতা চালালেও চালকদের আইন ভঙ্গের প্রবণতা, অসতর্কতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
চালকরা জানান, আইনের প্রয়োগ থাকলে সবাই নিয়ম মেনে চলত। কে আগে যাবে এমন প্রতিযোগিতা থেকেই দুর্ঘটনা বাড়ছে। হাইওয়ে পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে ৪০৩ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬৮টি মামলা হয়েছে। আর মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছেন ৩৮৯ যাত্রী। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৬২৩ যাত্রী, ৪৯০টি যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। ২০১৮ সালে ২৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫টি মামলা হয়েছে। আর মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছেন ১৭৫ যাত্রী। আহত হয়েছেন ২৭০ যাত্রী, ৩৯৫টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চালক ও পথচারীর অসচেতনতা, গাড়ি ও চালকের ফিটনেস এবং অন্য গাড়ির সঙ্গে প্রতিযোগিতার ফলেই দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করে হাইওয়ে পুলিশ। দুর্ঘটনার মামলায় চার্জশিট দিলেও কোর্টে উভয়পক্ষ মীমাংসা করে ফেলে বলে দুর্ঘটনার মামলা অনেক ক্ষেত্রে থেমে যায় বলে মনে করে হাইওয়ে পুলিশ।
এ বিষয়ে কুমিল্লা অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় মৃতের পরিবারই জানে আকস্মিক এ মৃত্যুগুলো কতটা বেদনাদায়ক এবং কত অসহায় করে তোলে তাদের। তাই দুর্ঘটনারোধে প্রয়োজন চালকদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন