রাজধানীর নিমতলী থেকে চকবাজারের চুড়িহাট্টার দূরত্ব খুব বেশি নয়। বড় জোর আধা কিলোমিটার হবে। সেই নিমতলী থেকে উচ্চারিত একটি সতর্কবার্তা দশ বছরেও পৌঁছায়নি চকবাজারে। চকবাজার কেন, কোথাও পৌঁছায়নি। আর পৌঁছায়নি বলেই একই দুর্ঘটনার দুঃখজনক পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। নিমতলীর নাম শুনলেই মানুষের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সবকিছু ভষ্ম করে দেওয়া আগুনের লেলিহান শিখার ছবি, কানে বাজে সে আগুনে পুড়ে নির্মমভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়া অসহায় মানবসন্তানদের আর্তচিৎকার। ভেসে আসে স্বজন-সম্পদহারাদের বিলাপের শব্দ। ২০১০ সালের ৩ জুন ঘটে যাওয়া সে বিভীষিকাময় ঘটনার স্মৃতি এখনও মানুষকে হতবিহ্বল করে দেয়। বেদনায় কুকঁড়ে ওঠে হৃদয়। সে মর্মন্তুদ ঘটনা আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছিল, অসাবধানতা, অসতর্কতা এবং অপরিনামদর্শী কাজ কী ভয়ানক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে আগুন লেগে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে, তাতে বেঘোরে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত সত্তরজন। এদের মধ্যে রয়েছে নারী-শিশুসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ। কেউ পুড়ে মরেছেন নিজ বাসায় স্ত্রী সন্তানসহ, কেউবা ওই পথ দিয়ে আসার সময় আগুনের গ্রাসে নিপতিত হয়ে, কেউ কেউ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসেই আগুনের জ্বলন্ত শিখার গ্রাসে পড়েছেন। বোনের বিয়ে উপলক্ষে কেনাকাটা করতে গিয়ে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের করুণ মৃত্যু সবাইকে ব্যাথিত করেছে। তেমনি গর্ভবতী স্ত্রী বের না হতে পারায় স্বামীও বের না হয়ে একসঙ্গে দু’জনের মর্মান্তিক মরণের খবর কাউকে অশ্রুসজল না করে পারেনি। ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমে সেসব সচিত্র খবর দেখে কিংবা পত্রিকায় পড়ে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন সবাই। প্রশ্ন উঠেছে, কার ভুলে বা গাফিলতিতে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, কে বা কারা দায়ী এতগুলো মূল্যবান জীবন ও সম্পদহানির জন্য।
ঠিক একই রকম প্রশ্ন উঠেছিল ২০১০ সালেও, যখন নিমতলীতে আগুন লেগে এক শ’ ২৪ জন মানবসন্তানকে কয়লা হতে হয়েছিল। সে দুর্ঘটনাটিও ঘটেছিল একই কারণে। কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লেগে ওই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল। তখন সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, এ ধরনের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় রাসায়নিক দাহ্য পদার্থের মজুত করতে দেয়া হবে না। তারপর পার হয়ে গেছে নয়টি বছর। কিন্তু সে ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি। একটি কেমিক্যাল গোডাউনও সেখান থেকে সরে যায়নি। বলা হচ্ছে, বুড়িগঙ্গার ওপারে ‘কেমিক্যাল হাব’ গড়ে তোলার জন্য সরকার প্রয়োজনীয় জায়গাও নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা নাকি তাতে সাড়া দেয়নি। তারা নতুন জায়গায় ব্যবসা স্থানান্তর করতে আগ্রহী নয়। কিন্তু সরকার তথা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো কেন সে ব্যাপরে কঠোর হতে পারল না? সরকারের চেয়ে কী ওই কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের শক্তি বা ক্ষমতা বেশি?
চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডির পর প্রথা মোতাবেক শুরু হয়েছে বাকযুদ্ধ। প্রথমত কথা উঠেছে আগুন কীভাবে লাগল তা নিয়ে। এ বিষয়ে সরকারের পদস্থ ব্যক্তিরা একেকজন একেক রকম কথা বলছেন। তা তারা বলতেই পারেন। সবার দৃষ্টিভঙ্গী তো এক হয়না। তাদের কেউ বলছেন, একটি গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরিত হয়ে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। আবার কেউ কেউ বলতে চেয়েছেন, নিকটবর্তী একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিষ্ফোরণই এই ভয়ঙ্কর ঘটনার কারণ। কিন্তু সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, ওযাহেদ ম্যানশনের দোতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত। ওই ভবনটিতে দাহ্য তরল ও পাউডার জাতীয় রাসায়নিক পদার্থের বেশ কয়েকটি গোডাউন ও কারখানা ছিল। তবে অবাক কান্ড হলো, কোনো রকম তদন্ত ছাড়াই শিল্পমন্ত্রী বলে দিলেন, ওয়াহেদ ম্যানশনে কোনো রনাসায়নিক দ্রব্যের মজুত ছিল না। হঠাৎ করে কেন তিনি অমন একটি সাফাই বক্তব্য দিলেন তা কারো কাছেই বোধগম্য নয়। তিনি কি কাউকে দায়মুক্ত করার জন্যই ও কথা বলেছেন? প্রশ্নটি সঙ্গত কারণেই উঠেছে। মন্ত্রী মহোদয়ের বচন যে একেবারেই বাস্তবতা বিবর্জিত তার প্রমাণ একদিন পরেই পাওয়া গেল। যে ভবনটি পুড়ে ভষ্ম হয়েছে সে ওয়াহেদ ম্যানশনের আন্ডারগ্রাউন্ড ফ্লোর থেকে আবিষ্কার করা হয়েছে রাসায়নিক দ্রব্যের বিশাল মজুদ। পরিবেশ ও দুর্যোগ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আগুন যদি নিচের দিকে যেত, তাহলে আরো ভয়াবহ ঘটনা ঘটতে পারত। যেহেতু আগুন সবসময় উপরের দিকে বিস্তার লাভ করে, তাই হয়তো ভ‚-গর্ভস্থ গোডাউনে আগুন লাগেনি। এখন মন্ত্রী মহোদয় কী বলবেন? তিনি কী এখনও তার পূর্বের বক্তব্যে অনড় থাকবেন, নাকি না জেনে মন্তব্য করার জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন? আগুন যেভাবেই লেগে থাকুক তার দ্রুত সর্বগ্রাসী বিস্তার যে রাসায়নিক পদার্থের কারণে হয়েছে তা নিয়ে এখন আর কোনো সংশয় নেই কারো। তাছাড়া এটাও পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ মজুত এবং একই পদার্থ দিয়ে পারফিউম বনানোর কারখানা সেখানে ছিল; যেগুলোর কোনো বৈধ অনুমোদন ছিল না।
যে প্রশ্নটি বেশ জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে তাহলো, নিমতলী ট্র্যাজেডির পর কেন এ বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা হলো না? কেন কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের সরকারের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য করা গেল না? চুড়িহাট্টার ঘটনার পর স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যখন এ বিষয়ে হতাশা প্রকাশ করেন, তখন সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন উঠে, তাহলে আমরা কোথায় যাব? একদল ব্যসায়ীর অপরিনামদর্শী একগুয়েমীর শিকার হতে হবে কেন নিরীহ মানুষদের? এ কথা এখন পরিষ্কার যে, নিমতলী, চকবাজার, চুড়িহাট্টা, লালবাগ, ইমামগঞ্জসহ পুরান ঢাকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যেসব কেমিক্যাল গোডাউন-কারখানা রয়েছে সেগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা দপ্তরসমূহের অনুমোদন ছাড়াই চলছে। কিন্তু কথা হলো, এগুলো দেখার কী কেউ নেই? ওইসব এলাকার ভবনের প্রায় সবগুলোই মার্কেট বা আবাসিক ভবন হিসেবে নির্মিত। যে ভবনটি থেকে আগুনের সূত্রপাত সে ওয়াহেদ ম্যানশনও একটি বানিজ্যকেন্দ্র। খোঁজ নিলে দেখা যাবে, সেখানে দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ গুদামজাত করার বা কোনো ধরনের কারখানা স্থাপনের অনুমোদন নেই। অথচ সেখানে তা বেশ প্রকাশ্যেই চলছিল। সিটি কর্পোরেশন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো একরকম ঘুমিয়েই ছিল! এসব অবৈধ কারবারে কোনো ধরনের বাধা দেওয়ার গরজ তারা অনুভব করেনি। এটা কি কেবলই অবহেলা-অবজ্ঞা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে? প্রচারিত আছে যে, সরকারি সবগুলো দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গোচরেই ঘটেছে এসব কারবার। তাদেরকে ফাঁকি দিয়ে ওই এলাকার ভবন মালিক বা ব্যবসায়ীরা এমন মরণফাঁদ তৈরির সুযোগ পাওয়ার কথা নয়। শোনা যায়, এজন্য প্রতি মাসে লেনদেন হয় বেশ মোটা অঙ্কের টাকা। সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করইে এ অবৈধ কারবার চলে নির্বিঘ্নে।
প্রত্যেকটি দুর্ঘটনার পর আমাদের দেশে যে কমন ব্যাপরটি ঘটে, তাহলো ঘটনার বিষয়ে এক বা একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন। বেশ জোরে শোরেই প্রচার করা হয় তদন্ত কমিটি গঠনের খবর। বলা হয়ে থাকে, একটি নির্দিষ্ট সময়ের কথা; যে সময়ের মধ্যে কমিটিগুলো তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। কিন্তু সে তদন্ত রিপোর্ট আর আলোর মুখ দেখে না। কী তদন্ত হয়, কী তার রিপোর্ট পাওয়া যায়, সুপরিশ কী এবং তার বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় তা আর সাধারণ্যে প্রকাশ করা হয় না। স্মরণ থাকার কথা, নিমতলি ট্র্যাজেডির পরেও তদন্ত কমিটি হয়েছিল। কিন্তু তার রিপোর্ট বা সুপারিশ আমরা আর শুনিনি। তবে, সে সময় বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিগণ প্রায় একবাক্যেই বলেছিলেন যে, ঘনবসতিপূর্ণ ও ব্যস্ততম ওই বানিজ্যিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন ও অবৈধ কারখানাগুলো সরিয়ে নিতে হবে জনজীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে। কিন্তু সেসব সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়নি। গত ২৫ ফেব্রুয়ারির পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, চুড়িহাট্টা ট্র্যাজিডির পর পরবর্তী করণীয় ঠিক করতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক হয়েছে, তাতে নিমতলী ঘটনার পর নেওয়া সুপারিশগুলোই ঘুরে ফিরে নতুন করে উঠে এসেছে। বৈঠকে সে সুপারিশসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান সাংবাদিকদের বলেছেন, সভার সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। ২০১০ সালের নিমতলীর ঘটনার পর আসা সুপারিশগুলোর সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে। যেহেতু দুর্ঘটনা দু’টির মধ্যে মিল রয়েছে, তাই এর ভবিষ্যত পুনরাবৃত্তি রোধে সুপারিশসমূহের মধ্যে যে মিল থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ২০১০ সালের সুপারিশগুলো কেন বাস্তবায়িত না হয়ে বস্তাবন্দী হয়ে পড়ে রইল? এটা কি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে? এ নিয়ে সরকারের দুইজন সাবেক মন্ত্রীর মধ্যে চলছে বাকযুদ্ধ। ২০১০ সালে শিল্পমন্ত্রী ছিলেন দিলীপ বড়–য়া। তিনি গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৪ দলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে চুড়িহাট্টার ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আগের সুপারিশ বাস্তায়িত না হওয়ার জন্য তার উত্তরসূরী আরেক সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ওপর দায় চাপিয়েছেন। বলেছেন,‘কেমিক্যাল বিজনেস রিলোকেট করার জন্য আমি মন্ত্রী থাকাকালে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কেমিক্যাল মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ও বিসিক মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা ঢাকার বাইরে একটি জমিতে স্থানান্তরিত হবে। এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা ছিল। কিন্তু ডিসক্রিট ব্যাপারের কারণে পুরো ব্যাপারটি এগোয়নি।’ দিলীপ বড়–য়া এখন আমির হোসেন আমুর ওপর দায় চাপালেও তিনি কি তার দায় অস্বীকার করতে পারবেন? নিমতলীর অগ্নিকান্ডের পর চার বছর তিনি মন্ত্রী ছিলেন। এ চার বছরে সুপারিশ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত যে এক ইঞ্চিও না এগোর দায় কি তার নয়? তিনি কি এ বিষয়ে আর কোনো খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন? সাবেক মন্ত্রীদ্বয় একে অপরের কাঁেধ দোষ চাপিয়ে পার পেতে চাইলেও তারা তা পাবেন না, পেতে পারেন না।
গোল্ড ফিসের স্মৃতিশক্তি নাকি খুবই ক্ষণস্থায়ী। প্রশ্ন উঠেছে আমারা কী ধীরে ধীরে গোল্ডফিশ হয়ে যাচ্ছি কি না । কারণ সবসময় দেখা যায়, একটি দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা নিয়ে আমরা কিছুদিন হৈ চে করি, তারপর সব ভুলে যাই। আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটলে আবার আমাদের চৈতন্যোদয় হয়। লঞ্চ দুর্ঘটনার কথাই যদি ধরি তাহলে কী একই চিত্র দেখা যাবে না? ওটা আমাদের দেশে সাংবাৎসরিক ঘটনা। একটি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটার পর নানা আলোচনা পর্যালোচনা হয়, নিয়ম কানুনের কথা উঠে, আইনের বাস্তবায়নে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোন যায়। তারপর একদিন সব সুনসান নিরবতায় পরিণত হয়। আমরা বিস্মৃত হই সে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি আর সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার কথা। এভাবেই চলে আসছে বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ।
মেডিক্যাল সয়েন্সে একটি কথা আছে, ‘প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর’। অর্থাৎ রোগ নিরাময়ের চেয়ে শরীরের রোগ প্রবেশে প্রতিরোধ গড়ে তোলাই উত্তম। যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা যায়, তাহলে যেমন চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে না, তেমনি ক্ষতিরও আশঙ্কা থাকে না। তেমনি আগাম সতর্কতা ও কার্যকর পদক্ষেপ আমাদেরকে অনেক দুর্ঘটনা বা অনভিপ্রেত পরিস্থিতি থেকে রেহাই দিতে পারে। সে অগ্নিকান্ডের ঘটনাই হোক, কিংবা হোক লঞ্চডুবি। অভিভাবেক হিসেবে যারা আমাদের মাথার ওপরে আছেন, তারা এ সত্যটি যত গরুত্ব দিয়ে উপলব্ধি করবেন, ততই কল্যাণ।
লেখক: সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন