শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

সেতু না থাকায় ভোগান্তি!

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) থেকে হাফিজুর রহমান সেলিম | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৯ এএম

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ৩১ বছরেও নির্মান হয়নি একটি ব্রিজ। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার চার ইউনিয়নের জনগন। এলাকাবাসী কখনো বাঁশের চাটাই, কখনো কাঁঠের পাটাতন দিয়ে কোনরকমে নিজেদের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রেখেছেন। তাদের অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও ব্রিজ নির্মাণে কোন সাড়া মেলেনি দীর্ঘদিনেও।
জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা হাজীপাড়া গ্রামের ভাংতিরপাড় এলাকার বাঁধের রাস্তাটি ১৯৮৮ সালের বন্যায় ছিড়ে যায়। এরপর থেকে ৩১ বছর ধরে এলাকাবাসী চাঁদা তুলে কখনো বাঁশের চাটাই, কখনো কাঁঠের পাটাতন দিয়ে কোনরকমে নিজেদের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রেখেছেন। কিন্তু এটি যানচলাচলের জন্য উপযুক্ত নয়। ফলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অসুস্থ্য রোগী থেকে শুরু করে এলাকার মানুষজন দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।
সরেজমিন গেলে এলাকাবাসী আবুল হোসেন ব্যাপারী (৬৫), রুহুল আমিন (৪০), হরেন্দ্র নাথ (৫৫), জিয়াউল হক (৪৫), আব্দুর রশিদ (৫০), নজরুল ইসলাম (৪০)সহ অনেকে জানান, বাঁধের রাস্তাটি দিয়ে উপজেলার থেতরাই, দলদলিয়া, গুনাইগাছ ও বজরা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এ রাস্তাটি দিয়ে এলাকার লোকজন স্বল্প সময়ে গ্রামীন পথ ধরে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা ব্রিজ পর্যন্ত যাওয়া আসা করেন। এছাড়াও এ পথ দিয়ে পার্শ্ববর্তী চিলমারী উপজেলায় দ্রুতই পৌছানো যায়। বর্ষা মৌসুম এলেই বাঁশের চাটাই ও কাঁঠের পাটাতন দিয়ে কোন রকমে তৈরি করা যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বটি তিস্তা নদীর পানির তীব্র স্রোতে ভেঙে পড়ে। ফলে এলাকার মানুষদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের জানান, ওই এলাকার বাঁধের রাস্তার ক্ষতিগ্রস্ত অংশটির বিষয়ে আমি অবগত আছি। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের মিটিং এ আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন