ঢাকার কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবিতে পৃথক ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন, রীমা আক্তার (২৮), তার আড়াই বছরের শিশুপুত্র মো. আলী হোসেন, মো. সাব্বির হোসেন (১৮) ও মো. তুহিন(২০)। রোববার রাত ১০টা থেকে ১২টার মধ্যে নিহতদের লাশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, নিহত রীমা আক্তার তার শিশুপুত্র মো. আলী হোসেনকে সাথে নিয়ে কালিন্দী ইউনিয়নের মাদারীপুরঘাট থেকে অন্য আরো ৪/৫জন যাত্রীর সাথে একটি খেয়া নৌকাযোগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের সাইনবোর্ড ঘাটে যাচ্ছিল। তাদের নৌকাটি ঘাটের কাছাকাছি আসলে প্রবল ঝড়ের কবলে পড়ে নৌক ডুবে যায়
এসময় অন্য যাত্রীরা সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠলেও রীমা আক্তার ও তার শিশুপুত্র পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে তাদের মৃত অবস্থায় নদী থেকে উদ্ধার করে। তার স্বামীর নাম মো. জিয়া। তার বাসা কামরাঙ্গীরচরের আশ্রাবাবাদ এলাকায়।
অপরদিকে সাব্বির ও তুহিনসহ ছয় বন্ধু কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে রোববার ৪টার সময় নৌকাযোগে বুড়িগঙ্গা নদীতে ঘুরতে আসে। নদীতে ঘোরাঘুরি করার এক পর্যায়ে খোলামোড়া খেয়াঘাট বরাবার আসলে তাদের নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে নদীতে ডুবে যায়। এতে অপর চার বন্ধু সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠলেও সাঁতার না জানার কারণে সাব্বির ও তুহিন পানিতে তলিয়ে যায়।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস হেডকোয়ার্টারের একটি টিম নদীতে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে তাদের দুই বন্ধুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। নিহত সাব্বির হোসেনের বাবার নাম মো. শহিদুল ইসলাম। তার বাসা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের পূর্ব রসুলপুর গ্রামে। নিহত তুহিনের বাবার নাম মো. আফজাল হোসেন। তার বাড়ি শরিয়তপুর জেলার ডামুঢ্যা থানার জায়ল গ্রামে। সে কামরাঙ্গীরচরের রসুলপুর গ্রামে রুহুল আমিনের বাড়িতে ভাড়া থাকত। কোন অভিযোগ না থাকায় নিহতদের লাশ রাতেই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন