এবার ভাটির টানে যমুনা গর্ভে বিলীন হচ্ছে গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন স্থাপনা। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভাঙন কবলিত এলাকার নিরিহ মানুষ। সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা নদীর তীরবর্তী সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, চৌহালী, শাহজাদপুর এলাকার নদী পাড়ের ভাঙন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। প্রতি বছরই ভাঙছে নদী, ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ। অথচ ভাঙন রক্ষার স্থায়ী কোন ব্যবস্থা না থাকায় রিক্ত নিঃশ্ব সর্বশান্ত হচ্ছে নদী ক‚লের মানুষ।
ইতোমধ্যে যমুনার তীব্র ভাঙনে বিলীন হলো সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার বেতিল স্পার বাঁধ-১ এর ১২০ মিটার এলাকা থেকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের আজুগড়া এলাকায় স্থাপিত স্পার বাঁধটিতে ধস দেখা দেয়। বাঁধটির মাটির অংশের ১২০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ স্পারটিতে ধস দেখা দেওয়ায় মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আজুগড়া সাবমেরিন কেবল সাইডের সার্স লাইনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর এবং ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তাঁত সমৃদ্ধ বেলকুচি-এনায়েতপুরকে যমুনার ভাঙন থেকে রক্ষায় সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর আঞ্চলিক সড়কের পূর্বপ্রান্তে ২০০০-২০০১ অর্থ বছরে বেতিল স্পার বাঁধ-১ ও ২ নামে দুটি স্পার নির্মাণ করা হয়। বেতিল স্পার বাঁধ-১ এর মোট দৈর্ঘ্য ৯৫০ মিটার। এর মধ্যে ৮০০ মিটার আর্জেন্ট স্যাংক, যেটা মাটির তৈরি অংশ। বাকি ১৫০ মিটার আরসিসি। গত কয়েকদিনে বাঁধটির মাটির অংশে ধস দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় ১২০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন আগে নির্মিত এ স্পারটির রক্ষণাবেক্ষণ যথাযথভাবে না করায় বারবারই ধস দেখা দেয়। তাছাড়া যমুনার বালু উত্তোলন এবং বালুবাহী ট্রাক বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচল করার কারণে বাঁধটিতে ধস দেখা দেয়।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (বেলকুচি পওর বিভাগ) মো. মিল্টন হোসেন জানান, যমুনার পানি বাড়ার সঙে সঙে বাঁধটিতে ধস দেখা দেয়। গত ১৪ অক্টোবর থেকে ধস দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে তখন বালুর বস্তা ডাম্পিং করা হয়েছে। তারপরও যমুনার পানি বাড়ার কারণে বাঁধটিতে ভাঙন সৃষ্টি হয়। পানি কমে গেলে স্পারটি সংস্কার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন