ফের স্থগিত হলো বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) নির্বাচন। বাহফে নির্বাচন নিয়ে সব সময়ই নাটক মঞ্চস্থ হয়। যার কুশিলব বরাবরই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এনএসসি)। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২৭ আগস্ট বাহফে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা আর হয়নি। ওই নির্বাচনে ১৭ আগস্ট মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। কিন্তু তার আগের দিন বিকেলে বন্যার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন স্থগিত করে এনএসসি। তবে এবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বন্যা বা খরা নয়, কোর্টের এক আদেশে নির্বাচন স্থগিত করতে হয়েছে। আসন্ন বাহফে নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন বিকেলে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই দুপুরে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। মূলত নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটার তালিকার ওপর কাল স্থগিতাদেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন। তারই প্রেক্ষিতে ৮ এপ্রিল নির্ধারিত নির্বাচন স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয় এনএসসি। এই নির্বাচনে প্রথম বিভাগ হকি লিগের ক্লাব শিশু কিশোর সংঘের কাউন্সিলর তারেক আহমেদ আদেলের ভোটার হওয়ার বৈধতা নিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন একই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিকান্দার। যে কারণে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশন চূড়ান্ত ভোটার তালিকার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। ভোটার তালিকা নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বহাল থাকবে। এনএসসি জানায়, হাইকোর্ট থেকে পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচন কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এদিকে বাহফে নির্বাচনে মনোয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে তা স্থগিত ঘোষণা করায় হতবাক হয়ে যান নির্বাচনে সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের দুই প্রার্থী ঊষা ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর আব্দুর রশিদ সিকদার ও ঢাকা মোহামেডানের আলহাজ্ব এ,কে,এম মমিনুল হক সাঈদ। তারা বিষয়টিকে সহজভাবে নেননি। এনএসসি’র নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর বিকেলে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন রশিদ-সাঈদরা। ৮ এপ্রিলের নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণায় ক্ষোভ প্রকাশ করে সহ-সভাপতি প্রাথী রশিদ সিকদার বলেন,‘একটি পক্ষ ও ব্যাক্তিকে সমর্থন যোগাতেই এনএসসি নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে। যা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তাই অবিলম্বে এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে।’ সাধারণ সম্পাদক পদপ্রাথী মমিনুল হক সাঈদ বলেন,‘বাহফে নির্বাচনে আমাদের জয়ের পাল্লা ভারী, এটা বুঝতে পেরে বিরোধী পক্ষ এনএসসিকে প্রভাবিত করেছে নির্বাচন স্থগিত করতে। তাদের কথায় সায় দিয়ে এনএসসি নির্বাচন স্থগিত করে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। আমাদের দাবী যত তাড়াতড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন