দীর্ঘ একযুগেরও বেশী সময় পর বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন (বাহফে) পেল নতুন নির্বাচিত কমিটি। ২৯ এপ্রিল নির্বাচন শেষে অভিজ্ঞ হকি সংগঠক আব্দুর রশিদ শিকদার সহ-সভাপতি ও তরুণ ক্রীড়া সংগঠক আলহাজ্ব একেএম মমিনুল হক সাঈদ নতুন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। গত ৮ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নিয়েই তারা দেশের হকি উন্নয়নের কাজে নেমে পড়েন। ১৪ মে থেকে মহিলা হকি ক্যাম্প শুরুর মধ্যদিয়ে প্রথম কাজ শুরু করেন রশিদ-সাঈদরা। এরই মাঝে সহ-সভাপতি রশিদ শিকদার থাইল্যান্ডে গিয়ে দেশটির হকি প্রধান চারিওয়াপাক সিরিওয়াতের সঙ্গে সভা করেন ১৬ মে। একই দিন সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এএইচএফ’র প্রধান কার্যালয়ে সভা করেন এশিয়ান হকি ফেডারেশনের (এএইচএফ) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৈয়ব ইকরামের সঙ্গে। দেশে ফিরে রশিদ-সাঈদরা গত সোমবার সভা করে সিদ্ধান্ত নেন দ্বিতীয় বিভাগ লিগ শুরু করার। আগামী ১৫ জুন থেকে ৭ দলকে নিয়ে শুরু হবে দ্বিতীয় বিভাগ হকি লিগ। যেখানে দলগুলোকে দেয়া হবে লিগে অংশগ্রহণ ফি বাবদ ১ লাখ টাকা করে। সঙ্গে প্রতিটি দল পাবে ১৫ টি করে স্টিক।
ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক আসর নিয়ে দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করা বাহফে’র নব-নির্বাচিত কমিটির চোখ এবার জাতীয় দলের জন্য নতুন বিদেশী কোচের দিকে। আগামী জুলাইয়ে এশিয়ান ইনডোর টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের হকি নতুন যুগে পা রাখতে যাচ্ছে। ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত হবে এ টুর্নামেন্ট। বাহফে’র নতুন কমিটি প্রথমবারের মতো ইনডোর টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ হকি দলকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে চায়। যে কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর দু’সপ্তাহ আগে থাইল্যান্ডে পাঠানো হবে দলকে। এরই মধ্যে একজন বিদেশি কোচ নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছে বাহফে। এশিয়ান হকি ফেডারেশনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে পোল্যান্ডের দুইজন কোচের জীবনবৃত্তান্তও সংগ্রহ করেছে তারা। এ প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক একেএম মমিনুল হক সাঈদ বলেন,‘ এশিয়ান হকি ফেডারেশনের মাধ্যমে একজন বিদেশি কোচ পাওয়ার চেষ্টা করছি আমরা। তারা ব্যবস্থা করতে না পারলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক মালয়েশিয়ান কোচ ইমান গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তিকে নিয়ে আসবো। কারণ, তারও ইনডোর হকিতে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে। তার অধীনে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়া নারী দল ইনডোর এশিয়ান হকির ফাইনালে খেলেছিল।’
সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার বলেন, ‘পোল্যান্ডের ২ জন কোচের বায়োডাটা আমরা হাতে পেয়েছি। তাদের মধ্য থেকে একজনকে ঠিক করা যায় কিনা এ ব্যাপারে বায়োডাটা দেখে সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমাদের বিবেচনায় আছেন জাতীয় দলের সাবেক মালয়েশিয়ান কোচ গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তিও। আমরা এখন কোচ নেবো যাচাই-বাছাই করেই। পোল্যান্ডের দুইজনও অনেক অভিজ্ঞ। আমরা দুটি কারণে কোচ নেবো। খেলোয়াড়দের কোচিং করানো এবং কোচদের ডেভেলপমেন্ট করা। গোবিনাথন ইনডোর না দেখলে জাতীয় দল দেখবেন।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন