বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের (বাহফে) বহুল আলোচিত নির্বাচনের বাকি আর মাত্র চারদিন। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এতে অংশ নেয়া দু’টি পক্ষই বর্তমানে নিজেদের প্রচারণায় ব্যস্ত। এরই মাঝে রশিদ-সাঈদের নেতৃত্বাধীন বাঁচাও হকি পরিষদ নিজেদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করলো। সেই ইশতেহারে রয়েছে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে জাঁকজমক আয়োজনে ইশতেহার ঘোষণা করেন বাঁচাও হকি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আলহাজ্ব একেএম মমিনুল হক সাঈদ। এ অনুষ্ঠানেই নিজেদের প্যানেল পরিচিতি তুলে ধরেন রশিদ-সাঈদরা। ইশতেহার ষোষণার সময় সাঈদ জানান, তিনি নির্বাচিত হলে আগামি চার বছর দেশের হকি উন্নয়ন, প্রচার ও প্রসারের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দিবেন।
এই পরিষদের ইশতেহারে রয়েছে দেশের হকির ভবিষ্যত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কয়েকটি কমিশন। যেগুলোর মাধ্যমে হকি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন করা হবে। কমিশনগুলো হলো- ডেভেলপমেন্ট কমিশন, হাই পারফরমেন্স কমিশন, কম্পিটিশন কমিশন, ট্রেনিং অ্যান্ড মনিটরিং কমিশন এবং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কমিশন।
ইশতেহার ঘোষণার সময় মমিনুল হক সাঈদ বলেন, ‘ডেভেলপমেন্ট কমিশনের অধীনে হবে বিভাগীয় হকি প্রতিযোগিতা, জেলা লিগ, আন্ত:জেলা ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়নশিপ, জাতীয় যুব হকি, বাংলাদেশ গেমস, যুব গেমস, স্কুল হকি, মহিলা হকি, উপজাতি হকি, প্রতিভা অন্বেষন ও জাতীয় দল গঠন প্রক্রিয়া। জাতীয় মুল দলের বাইরে থাকবে, অলিম্পিক অর্থাৎ অনুর্ধ্ব ২৩, ১৮, ১৬ দল। ভুর্তুকি দিয়ে হলেও মহিলা হকি দলের প্রশিক্ষণ ও টুর্ণামেন্টের আয়োজন করা হবে।’
ইশতেহারে বলা হয় জাতীয় ও অলিম্পিক দলের খেলোয়াড়দের বিদেশী লিগ খেলার সুযোগ তৈরি করে দেয়া ও ইন্স্যুরেন্সের আওতায় আনা হবে। কম্পিটিশন কমিশনের কাজ হবে, আগামি বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীতে বিশ্বমানের দলগুলোর অংশগ্রহনে একটি আমন্ত্রনমুলক আন্তর্জাতিক হকি করা। এছাড়া প্রিমিয়ার লিগের জট কমানো। প্রতিবছরই যাতে লিগটি হয় সেদিক বিবেচনায় আন্তর্জাতিক সূচীর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রিমিয়ার লিগের দিনক্ষন ঠিক করা হবে। লিগ স্ট্যান্ডিং অনুসারে ক্লাবগুলোকে প্রাইজমানি দেয়া হবে। প্রথম ও দ্বিতীয় বিভাগ নিয়ম অনুযায়িই হবে। আরো থাকবে ফেডারেশন কাপ, কর্পোর্টে হকি লিগ। নতুন চমক হিসেবে থাকবে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঢাকা প্রিমিয়ার হকি লিগ। এর সবই করবে কম্পিটিশন কমিশন।
দেশের হকিতে আধুুনিকতার ছোঁয়া লাগাতে চান রশিদ-সাঈদরা। তাই তাদের ইশতেহারে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ডাটা বেস ও সকল খেলোয়াড়কে রেজিস্ট্রেশনভুক্ত করতে চান তারা। ডাটাবেসের মাধ্যমে একটি ইউনিক রেজিস্ট্রেশন নাম্বার প্রদান করবেন। যেখানে একজন খেলোয়াড়ের প্রোফাইল থাকবে। প্রতিবছর এজিএম করারও ঘোষণা রয়েছে এই ইশতেহারে।
ইশতেহার ঘোষণার সময় সাঈদ আরো বলেন,‘আমাকে একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন। হকি আছে তারপরও কেন বাঁচাও হকি পরিষদ নাম দিলাম। হকির সবই আছে কিন্তু সঠিক কার্যক্রম নেই। আমরা দায়িত্বে আসলে ঠিকই হকিকে বাঁচিয়ে তুলবো। কাউন্সিলররা আমাকে নির্বাচিত করলে আল্লাহ চাহেন তো আগামি চার বছর হকির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করে দেবো।’
এদিকে নির্বাচনের অন্য পক্ষ সাজেদ-সাদেক পরিষদ কবে নিজেদের ইশতেহার ঘোষণা করবে তা এখনো জানা যায়নি।
বাঁচাও হকি পরিষদের প্রার্থীরা: সহ সভাপতি- আব্দুর রশিদ সিকদার, সৈয়দ মোস্তাক আলী মুুকুল, সারওয়ার হোসেন, মাহমুদ রিবন, নুরে আলম খোকন, সাধারণ সম্পাদক- আলহাজ্ব একেএম মুমিনুল হক সাঈদ, যুগ্ম সম্পাদক- কামরুল ইসলাম কিসমত, আনোয়ারা সরকার, কোষাধ্যক্ষ- হাজী মো: হুমায়ুন, সদস্য - খাজা তাহের লতিফ মুন্না, বদরুল ইসলাম দিপু, মো: আসলাম, মো: তারিকউজ্জামান, সাফায়েত হোসেন ডালিম, জামিল আব্দুন নাসের, রফিকুল ইসলাম কামাল, নুরুল ইসলাম ফারুকী, মোস্তাক হোসেন মোনা, কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, রেজাউল করিম রিপন, শহিদ উল্লাহ টিটু, মেহেদী হাসান, মাহফুজুল আলম, মো: হোসেন মনির ও হাজী এম এ সাত্তার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন