প্র: যেখানে কিবলা জানার কোন আলামত নেই সেখানে কি করতে হবে?
উ : গভীরভাবে চিন্তা করে যেদিকে মন সায় দিবে, সেদিকে ফিরে নামায আদায় করে ফেলতে হবে।
প্র: যদি চার দিকেই কিবলা হতে পারে বলে কারো মন সাক্ষ্য দেয়, সে কি করবে?
উ : সব দিকে ফিরেই একবার একবার নামায আদায় করবে।
প্র: গভীর চিন্তা-ভাবনার পর একদিকে ফিরে নামায আদায় করার পর কেউ যদি সঠিক কিবলা জানতে পারে, সে কি করবে?
উ : তার নামায আদায় হয়ে যাবে। পুনরায় ওই নামায পড়ার দরকার নেই।
প্র: এক ব্যক্তি রেল, স্টিমার বা লঞ্চে কিবলামুখী হয়ে নামায শুরু করলো, এরপর নামাযের মধ্যেই রেল, স্টিমার বা লঞ্চটির গতি কিবলার দিক হতে অন্য কোন দিকে ফিরে গেলো, এক্ষেত্রে নামাযরত ব্যক্তি কি করবে?
উ : এই নামাযী ব্যক্তি নামাযের ভিতরেই ধীরে ধীরে কিবলার দিকে ফিরে দাঁড়াবে। কিবলার যাবতীয় আহকাম, নামাযে জানাযাহ এবং সিজদায়ে তেলাওয়াতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
প্র:- জামাআত সহীহ হওয়ার জন্যে কি কি শর্ত?
উ:- ইমাম মুসলমান, বালেগ ও বুদ্ধিমান হতে হবে। মুক্তাদী নামাযের নিয়্যতের সাথে সাথে এই নিয়্যতও করবে যে, ‘আমি এই ইমামের পিছনে অমুক নামায পড়ছি’। ইমাম ও মুক্তাদী উভয়ের অবস্থান এক হওয়া। দু’জনের মধ্যে রাস্তা, নদী বা বড় কোন ব্যবধান না থাকা। ইমাম ও মুক্তাদীর একই নামায হওয়া। ইমামের নামায সহীহ হওয়া। মুকতাদী ইমামের পিছনে দাঁড়াবে। ইমামের উঠাবসা রুকূ-সিজদাহ ইত্যাদি সম্পর্কে মুক্তাদী অবগত থাকা। কিরাআত ছাড়া অন্যসব কাজে ইমামের সঙ্গে মুক্তাদীর শরীক থাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন