শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নলছিটিতে পানচাষী এক পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ এপ্রিল, ২০১৯, ২:০৪ পিএম

ঝালকাঠির নলছিটিতে পানচাষী এক পরিবারকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে প্রতিবেশী প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমনকি জমি দখল করতে না পেরে প্রতিপক্ষরা ‘মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা’ দিয়ে তাদের হয়রানি করছে। আজ শনিবার বেলা ১২টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার কুশঙ্গল ইউনিয়নের সেওতা গ্রামের পানচাষী খিতিশ চন্দ্র রায়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। এসময় তাঁর চাচাতো ভাই ননি গোপাল রায় উপস্থিত ছিলেন। ননি গোপালকেও ওই চাঁদাবাজি মামলায় আসামী করা হয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে খিতিশ চন্দ্র রায় দাবি করেন, সেওতা গ্রামে তাদের এক একর ৩৬ শতাংশ জমি রয়েছে। পৈত্রিক সূত্রে এ জমির মালিক তাঁরা। জমিতে তাদের পানের বরজ ও বসতঘর রয়েছে। প্রতিবেশী কালা চাঁদ রায়, বিপ্লব চন্দ্র সাহা ও রিপন সাহা ক্রয় সূত্রে মালিক দাবি করে জোরপূর্বক জমি দখল করার ষড়যন্ত্র করছে। প্রতিদিনই তাদের বসতঘরে প্রতিপক্ষরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। তাদের বসতঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চক্রান্ত করছেন প্রতিপক্ষরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জমি নিয়ে ২০০৫ সালে খিতিশ চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে কালা চাঁদ দাস। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ২০০৮ সালে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পুনরায় তারা সানি মামলা করেন। মামলায় অংশগ্রহণ না করার কারণে আদালত তাদের শো-কজ করে। এরপরও তারা আদালতে হাজির না হওয়ায় ২০১৭ সালে এ মামলাটিও খারিজ করে দেন। মামলা খারিজ করার পর ভুয়া কাজপত্র তৈরি করে তারা ওই জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এর পরে ২০১৮ সালে আবারো একটি সানি মামলা করতে গেলে আদালত তা গ্রহন করেননি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তারা আপিল করেন। আদালত ২৭ মার্চ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। বাদীর সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ১০ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন আদালত। এ অবস্থায় আদালতের কোন আদেশ ছাড়াই তারা প্রাভাবশালীদের সঙ্গে নিয়ে খিতিশ চন্দ্র রায় ও তাঁর চাচাতো ভাই ননি গোপাল রায়দের জমি দখল করতে যায়। তারা জোর করে ওই জমিতে পানের বরজ তৈরি করে। এতে বাধা দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় প্রতিপক্ষরা। এমনকি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিও করছে তাঁরা।

খিতিশ চন্দ্র রায় অভিযোগ করেন, জমি দখল করতে না পেরে, তারা অবৈধভাবে একটি পানের বরজ তৈরি করে। আমাদের নামে দুটি সাত ধারা ও একটি চাঁদাবাজী মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে এদের বিচার চাবি করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন