রংপুরের পীরগাছায় শুক্রবার ভোর রাতে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। এসময় পাকা ধানসহ রবি শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে ও অর্ধশত স্থানে তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় বেশকিছু এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার ভোর রাতে উপজেলার উপর দিয়ে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। এতে পীরগাছা সদর, কৈকুড়ী ও কান্দি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঝড়ে কান্দিরহাট স্কুল এন্ড কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। অসংখ্য গাছপালা উপড়ে গেছে। পাশাপাশি ঝড় ও শিলাবৃষ্টির কারণে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাটের আগা ছিঁড়ে গেছে। ভুট্টাগাছসহ রবি শস্যেও ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে প্রায় ২০টি স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে ও অর্ধশত স্থানে তাঁর ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
পীরগাছা ইউনিয়নের অনন্তরাম বড়বাড়ি গ্রামের আবুল কাশের ছেলে রবিউল ইসলাম জানান, শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে তাদের গ্রামে তার নিজের ঘরসহ অনেক ঘরবাড়ির চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
বড় পানশিয়া গ্রামের ময়নুল ইসলাম জানান, তার ঘরের উপর একটি বড় গাছ পড়ে গেছে। এতে তার দুটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। তিনি নিজেও পরিবারসহ অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।
কান্দিরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠানের একটি বড় গাছ পড়ে গিয়ে একটি দালান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা যোনাল অফিসের এজিএম (কম) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে পীরগাছা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। এছাড়া ৪০/৫০টি স্পটে তার ছিড়ে গেছে। উপজেলা সদরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার চেষ্টা চলছে। গ্রামাঞ্চলে সংযোগ দিতে সময় লাগবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া পাট ও ভুট্টাসহ রবি শস্যের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল আজিজ জানান, ক্ষতির পরিমান নির্ধারণে কাজ শুরু করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন