গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে গাছপালা। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আম, কাঁঠাল, লিচু ও কলাসহ উঠতি বোরো ধানের জমি। বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপাপড়ে ৫ জন আহত হয়েছে। মাথাগোজার ঠাঁই না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন মানুষ।
গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রচন্ড ঝড়ো বাতাস ও শীলাবৃষ্টি শুরু হয়। শীলা বৃষ্টিতে উঠতি আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও কলার বাগান, আম, লিচু ও কাঁঠালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নের বামনকুঁড়ি, কৈপাড়া, দিকদাইড়, মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নের জিরাই এবং শালমারা ইউনিয়নের উলিপুর গ্রামের বাড়ি ঘর ও ফসলের জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
উপজেলার ফুলবাড়ি ইউনিয়নেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এই ইউনিয়নের ৩টি গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। গ্রামটিতে চারিদিকে শুধু ধ্বংসের স্মৃতিচিহ্ন চোখে পড়ছে। বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে ৫ জন আহত হয়েছে। মানুষ বাড়ি ঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই গ্রামের বাসিন্দা কৃষক নয়া মিয়া জানান, প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড়ে আমাদের জমির ফসল, ফলজ গাছ এবং মাথাগোজার ঠাঁই তিনটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
এখন কিছুই অবশিষ্ট নেই, সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে থাকতে হবে। একই গ্রামের আরেক ষাটোর্ধ বৃদ্ধা লাভলী বেওয়া বলেন, আমরা খুবই গরীব মানুষ, তিন বেলার আহার জোগার করাই আমাদের কাছে দু:সাধ্যের বিষয়। ঝড়ে আমাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে আমরা এখন গৃহীন হয়েছি। আমরা কি করে আবার ঘর-বাড়ি তৈরী করব?
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং তাঁর ব্যক্তিগত তহবীল থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
এ সময় তিনি কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের দ্রুত পুণ:বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ^াস দেন তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন