মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়ে দক্ষিনাঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিতরণ ব্যবস্থা সহ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লকডাউন শুরুর আগের দিন সন্ধ্যার কিছু পড়ে আকষ্মিক এ ঝড়ের কারনে বহু নরী ও শিশু বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন শহরগুলোতে বিপনি বিতানে আটকা পড়েছে। সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল অন্ধকারে ডুবে আছে। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্বম বরিশাল নদী বন্দর সহ সমগ্র দক্ষিনাঞ্চলের নৌ বন্দরগুলো থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
সন্ধা পৌনে ৭ টার দিকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার বেগের মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়টি ভোলা ও ল²ীপুরের মধ্যবর্তি ভাটি মেঘনা থেকে বরিশালের হিজলা হয়ে মূল ভুখন্ডে উঠে এসে রাত ৭টা ৪৭ মিনিটে বরিশাল মহানগরীতে আঘাত হানে। এসময় ঝড়টির তীব্রতা ছিল ঘন্টায় ৪০ এ্যরোনোটিকাল মাইল বা ৭৫ কিলোমিটার। ঝড়ের প্রথম ছোবলেই বরিশাল মহানগরীর প্রায় ২০ টি ১১ কেভি ফিডারের বিদ্যুৎ সরবরহ বন্ধ হয়ে যাবার সাথে নগরীর ৪টি ৩৩ কেভী সাব-স্টেশনমুখি ৩৩ কেভি লাইন ছাড়াও বরিশালÑঝালকাঠী ও বরিশালÑনলছিটি সঞ্চালন লইনগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে জাতীয় গ্রীডের বরিশালÑখুলনা, বরিশালÑপটুয়াখালী ও বরিশালÑভেড়ামাড়া ১৩২ কেভী সঞ্চালন লাইন ছাড়াও বরিশালÑভোলা ২৩০ কেভী গ্রীড লাইনগুলো চালু থাকলেও বিদ্যুৎ সরবরহ বন্ধ রয়েছে। রাত সাড়ে ৮টায় ঝড়ের গতি কিছুটা কমে এলেও দমকা আকারে বাতাসের গতি ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন