দেশের সরকারী আধা-সরকারী স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারীর প্রায় ১৪ লক্ষ চাকরী জীবির মধ্যে প্রায় সোয়া পাঁচ লক্ষ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী এবার ভাবছে আসন্ন ঈদের আগে বেতন বোনাস পেয়ে ঈদ করতে পারবে তো। ইতিমধ্যে সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্বশাসিত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরী জীবীরা ২৮ মে” র মধ্যে তাদের বেতন ভাতা পাবে বলে ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা এখনো কোন ইশারা ইঙ্গিত পাননি করে নাগাদ তাদের বেতন ভাতা পাবে। বরাবরই বেসরকারী শিক্ষকদের বেতনের চেক ছাড়ের কমপক্ষে দেড় দুই সপ্তাহের আগে কেউ বেতন ভাতা তুলতে পারেনা। সেক্ষেত্রে যদি আগামী ৫ বা ৬ জুন ঈদ হয় তবে এর মধ্যে আর কয় কর্মদিবস কয়দিন ব্যাংক খোলা আছে। পাবরে কি ব্যাংক গুলো শিক্ষকদের বেভন ভাতা ঈদের আগে পাইয়ে দিতে। যদি না বৃহস্পতিবার বেতন ভাতা ছাড় হয়। এক পরি সংখানে দেখা গেছে আগামী সপ্তাহে ব্যাংক গুলো খোলা আছে ৫দিন, তার পরের সপ্তাহে খোলা আছে মাত্র ১ দিন ৩ জুন। ঐ ৩ জুনে কি বেসরকারী শিক্ষকরা তাদের বেতন ভাতা তুলতে পারবে। তুলতে পারলে তো ভাল নইলে গোল্লায় যাবে বেসরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের পরিবার পরিজনের এবারের ঈদ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা মন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্টরা জানেন কি না জানিনা, বেসরকারী শিক্ষকরা কিভাবে তাদের মাসিক বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। একবার যদি জানতেন তাহলে অনুধাবন করতে পারতেন বেসরকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতা প্রাপ্তিতে কি ভোগান্তি। যে সব ব্যাংকে বেসরকারী শিক্ষকরা বেতন ভাতা জমা দেন ও উত্তোলন করেন, তারা কি আচরন করেন সেই শিক্ষকদের সাথে তাও কি জানেন সংশ্লিষ্টরা ? তবে ২২শে মে বুধবার নাগাদ দেশের বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে বেসরকারী শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যদি বুধবার অথবা বৃহস্পতিবারের মধ্যে বেসরকারী শিক্ষকদের বেতন ভাতার চেক ছাড় হয় আর যদি ৩০ মে এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে এমপিও সিট পৌছে যায় তবে ৩ জুন তারা বেতন ভাতা তুলতে পারবে। না হলে তাদের ঈদ করতে হবে ধার কর্জের টাকা দিয়ে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন