শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

ইসলামে মালিক-শ্রমিক সুসম্পর্ক

মুহাম্মদ আতিকুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ রাষ্ট্রেই শ্রমিকদের অধিকার আদায় ও মালিক-শ্রমিক সংহতি স্থাপনে বিভিন্ন সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ দিবসটি পালন করে থাকে। কার্যত কর্ম ও কর্ম তৎপরতার মাধ্যমেই বিশ^ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মালিক-শ্রমিক অসন্তোষের কারণে বিভিন্ন সময় এ কর্ম তৎপরতা ব্যাহত হয় এবং অগ্রযাত্রা স্তিমিত হওয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্র ও সমাজ অরপূণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়। এ অসন্তোষের মূলে রয়েছে শ্রমিকের উপযুক্ত পারিশ্রকি না পাওয়া, চাকুরির নিরাপত্তাহীনতা, কর্ম ক্ষেত্রে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, অতিরিক্ত কাজে বাধ্য হওয়া এবং দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ না পাওয়া। যদিও শ্রমিকদের এসকল সমস্যা সমাধান ও অধিকার আদায়ে বিভিন্ন সময়ে শ্রমিক সংগঠনগুলো তাদের দাবী আদায়ে কাজ করে থাকে, কিন্তু মালিক পক্ষের অতি মুনাফা লোভী আচরণের জন্য সাধারণ শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয় এবং মালিক-শ্রমিক দূরত্ব সৃষ্টি হয়। 

পৃথিবীর বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংগঠনের নানারকম শ্রমনীতি রয়েছে, কিন্তু ইসলামী শ্রমনীতিই শোষণমুক্ত, ন্যায় ভিত্তিক ও বিশ^জনীন। এ ব্যবস্থায় শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করে মালিক-শ্রমিকের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে এবং ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করে তাদের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। ইসলামী সমাজে সকল ব্যক্তই শ্রমিক। আল্লাহ তাআলা প্রত্যেককেই সাধ্যানুযায়ী পরিশ্রম করার নির্দেশনা দিয়ে ইরশাদ করেনে “নিশ্চয়ই আমি মানুষকে শ্রম নির্ভর করে সৃষ্টি করেছি” (সূরা বালাদ:৪) ইসলামী সাধারণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা হযরত আদম আ. থেকে হযরত মুহাম্মদ সা. পর্যন্ত সকল নবী-রাসূলই ছিলেন শ্রমিক। নবীগণ মেষ-পালনের কাজ করেছেন। আমাদের নবী সা.ও মেষ চরাতেন। তিনি বিবি খাদীজা রা.-এর কর্মচারীরূপে বাণিজ্য করতেন। তিনি কূপ থেকে পানি তোলা বাবদ প্রতি পাত্রের বিনিময়ে একটি করে খেজুর মজুরি হিসাবে ইহুদী জোতদারদেও কাছ থেকে নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হাদীসে বীর্ণত হয়েছে, আবূ হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত যে, নাবী সা. বলেছেন, “আল্লাহ তাআলা এমন কোন নাবী প্রেরণ করেননি, যিনি বকরী না চরিয়েছেন। তখন তাঁর সাহাবীগণ বলেন, আপনিও? তিনি বলেন, হ্যাঁ, আমি কয়েক কীরাতের (মুদ্রা) বিনিময়ে মক্কাহবাসীর ছাগল চরাতাম”(বুখারী, কিতাবুল ইজারা)।
মালিক-শ্রমিকের সুসম্পর্ক স্থাপনে ইসলামী বিধি-বিধান সমূহ অনন্য। এতে তাদেরকে একে-অপরের ‘সাহায্যকারীর’ মর্যাদা দেয়া হয়েছে যেমন, ঠিক তেমনই তাদের খোর-পোশ ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জীবনোপকরণ পরিবেশন নিশ্চিত করার পূর্ণ তাগিদও দেয়া হয়েছে। বস্তুত ইসলামের দৃষ্টিতে এ হচ্ছে শ্রমিক-মজুরের ন্যায্য অধিকার। এ অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা যেতে পারে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,“আর তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ও কোন কিছুকে তাঁর সাথে শরিক করবে না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত, নিকট প্রতিবেশী, দূর প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করবে। দাম্ভিক আত্মগর্বীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না (আন নিসা-৩৬)। এ প্রসঙ্গে মানবতার মুক্তির দূত মুহাম্মদ সা. বলেন, ক্রীতদাসরা হচ্ছে তোমাদের ভাই, সুতরাং তাদের সহিত সদয় আচরণ কর। তোমাদের একার পক্ষে যে কাজ করা অসম্ভব, তাহাতে তাহাদের সাহায্য গ্রহণ কর; আবার তাহাদের একার পক্ষে যে কাজ করা অসম্ভব, তাতে তোমরাও তাদের সাহায্য করবে(আল-আদাবুল মুফরাদ, ১৯০)। পরস্পরের সাহয্য-সহযোগিতা ও কল্যাণ কামনা করাই ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। আল-কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে, “ভাল ও পরহেজগারীর কাজে একে অপরকে সাহায্য করো। গুণাহ ও সীমা লংঘনের কাজে একে অপরকে সায্য করো না”(মায়েদা:২)। এ প্রসঙ্গে রাসূল সা. বলেন, “তোমরা মুমিনদেরকে পরস্পরের প্রতি অনুগ্রহ, মায়া-মহব্বত ও সৌহার্দ্য প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে এক শরীরের ন্যায় দেখবে। তার কোন অংশে কষ্ট অনুভূত হলে পুরো শরীওে কষ্ট অনুভূত হয়। (বুখারী, আল- আদব)
রাসুলুল্লাহ সা. অধীনস্থদের নিজেদের ভাই হিসেবে উল্লেখ করে তাদের অধিকারের ব্যাপারে শতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন এবং তাদের উপর সাধ্যাতিরিক্ত কাজের বোঝা চাপিয়ে দিতেও নিষেধ করেছেন। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, মারূর ইবনু সুওয়াদা রহ. বলেন, একবার আমি আবূ যর গিফারী রা. এর দেখা পেলাম। তার গায়ে তখন এক জোড়া কাপড় আর তার ক্রীতদাসের গায়েও(অনুরূপ) এক জোড়া কাপড় ছিল। তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, একবার এক ব্যক্তিকে আমি গালি দিয়েছিলাম। সে নাবী সা. এর কাছে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করল। তখন নাবী সা. আমাকে বললেন, তুমি তার মার প্রতি কটাক্ষ করে লজ্জা দিলে? তারপর তিনি বললেন, তোমাদের গোলামেরা তোমাদেরই ভাই। আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনস্থ করেছেন, কাজেই কারো ভাই যদি তার অধীনে থাকে তবে সে যা খায়, তা হতে যেন তাকে খেতে দেয় এবং সে যা পরিধান করে, তা হতে যেন পরিধান করায় এবং তাদের সাধ্যাতীত কোন কাজে বাধ্য না করে। তোমরা যদি তাদের শক্তির ঊর্ধ্বে কোন কাজ তাদের দাও তবে তাদের সহযোগিতা কর।(বুখারী, ২৫৪৫)
ইসলামী সমাজে প্রতিটি ব্যক্তি এমন মর্যাদা ও অধিকার ভোগ করে যা অলংঘনীয়। ব্যক্তির সম্মান সমষ্টির সম্মানেরই অংশ এবং ব্যক্তির প্রতি কটাক্ষ ও অসদাচরণ সমষ্টির প্রতি অসদাচরণেরই অংশ। কেননা, সমাজ একটি অখÐ একক এবং তার মর্যাদাও অখÐ। শ্রমিকদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম তাদের কর্মঘন্টা, কর্মপরিবেশ ও পারিশ্রমিক প্রাপ্তির নিশ্চয়তাসহ তাদের সকল অধিকার বাস্তাবায়নেরও নির্দেশনা দিয়েছে। আল-কুরআনের বিভিন্ন স্থানে আল্লাহ তাআলা কর্ম, মালিক-শ্রমিকের সুসম্পর্ক স্থাপন ও পারিশ্রমিকের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন।এ প্রসঙ্গে হযরত মুসা আ. এর মাদয়ান নগরীতে গমনের পর তার কর্ম তৎপরতার ও পারিশ্রমিকের বিষয়ে উল্লেখ করে ইরশাদ করা হয়েছে, “অতঃপর নারীদ্বয়ের একজন লাজুকভাবে হেঁটে তার কাছে এসে বলল যে, আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন, যেন তিনি আপনাকে পারিশ্রমিক দিতে পারেন, আমাদের পশুগুলোকে আপনি যে পানি পান করিয়েছেন তার বিনিময়ে। অতঃপর যখন মূসা তার নিকট আসল এবং সকল ঘটনা তার কাছে খুলে বলল, তখন সে বলল, তুমি ভয় করো না। তুমি যালিম কওম থেকে রেহাই পেয়ে গেছ। নারীদ্বয়ের একজন বলল, ‘হে আমার পিতা, আপনি তাকে মজুর নিযুক্ত করুন। নিশ্চয় আপনি যাদেরকে মজুর নিযুক্ত করবেন তাদের মধ্যে সে-ই উত্তম, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত’। সে বলল, ‘আমি আমার এই কন্যাদ্বয়ের একজনকে তোমার সাথে বিয়ে দিতে চাই এই শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার মজুরী করবে। আর যদি তুমি দশ বছর পূর্ণ কর, তবে সেটা তোমার পক্ষ থেকে (অতিরিক্ত)। আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। তুমি ইনশাআল্লাহ আমাকে সৎকর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত পাবে’। মূসা বলল, ‘এ চুক্তি আমার ও আপনার মধ্যে রইল। দু’টি মেয়াদের যেটিই আমি পূরণ করি না কেন, তাতে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে না। আর আমরা যে বিষয়ে কথা বলছি, আল্লাহ তার সাক্ষী”(সূরা আল-কাসাস ২৫-২৮)।
ইসলামী শ্রমনীতিই ভানসাম্যপূনর্ণ ন্যায় ভিত্তিক সমাজ গড়তে পারে। এ নীতি অনুযায়ী শ্রমিক ও পুঁজি মালিকের পারস্পরিক সম্পর্ক দ্ব›দ্ব-সংঘর্স ও শ্রেণী-সংগ্রামের সম্পর্ক নয়। সে সম্পর্ক ভ্রাতৃত্বের, পারস্পরিক সহযোগিতার ও একই কাজে সমান শরীকদারীর। এ প্রসঙ্গে আল-কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে, “মুমনিরা তো পরস্পর ভাই-ভাই। অতএব, তোমরা তোমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসা করবে এবং আল্লাকে ভয় করবে-যাতে তোমরা অনুগ্রহপ্রাপ্ত হও” (জুমু‘আ:১০)। রাসূল সা. এ ভারসাম্যপূর্ণ ও ন্যায় ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে প্রত্যেককে তার নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সজাগ দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সা. ফরমাইয়াছেন: তোমরা প্রত্যেকেই রাখাল বা সংরক্ষণকারী স্বরূপ এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে। শাসক তার লোকজনের রাখাল স্বরূপ, তাকে তার শাসিতদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। দাস তার মনিবের সম্পদাদির রাখাল স্বরূপ, তাকে তা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। মনে রাখবে, তোমাদের প্রত্যেকেই (কোন না কোনভাবে) রাখাল স্বরূপ এবং তোমাদের প্রত্যেককেই তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। (আল-আদাবুল মুফরাদ-২০৬) মালিক-শ্রমিকের সুসম্পর্ক স্থাপনের জন্য রাসূল সা. তাদের আচরণ সম্পর্কে বলেন, “তোমাদের কারোর খাদেম যখন তার জন্যে খাবার নিয়ে আসবে, তখন তাকে সঙ্গে বসিয়ে না খাওয়ালেও তাকে অবশ্যই এক মুঠি বা দুই মুঠি খাবার দেবে। কেননা সে-ই তার ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীল”(বুখারী,২৪১৮)। রাসূল সা. মালিকদের নির্দেশ দেন যে, তারা যেন কর্মচারী, শ্রমিক ও অধীনস্তদের সাথে সন্তান-সন্ততির ন্যায় আচরণ করে এবং তাদের ইজ্জত- সম্মানের কথা স্মরণ রাখে। হাদীসে এসেছে-“ তাদের এভাবে সম্মান করবে যেভাবে নিজের সন্তানদের করো এবং তাদেরকে সে খাবার দিবে যা তোমরা নিজেরা খাও”(ইবনে মাজাহ: আল-আদব)। বিদায় হজ্জের গুরুত্বপূর্ণ ভাষণেও আল্লাহর রাসূল সা. মালিক-শ্রমিক ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক পূনরায় ব্যক্ত করে তাদের মর্যাদা তুলে ধরেন এবং অধিকারের বিষয় সতর্ক করেন।
ইসলামী বিধি-বিধান অনুযায়ী মালিক-শ্রমিকের কর্মের ফলাফল দুনিয়া ও আখেরাতে পূর্নমাত্রায় প্রদান করা হবে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,“ এবং মানুষের প্রাপ্য শুধু তা, যার জন্যে সে চেষ্টা ও শ্রম করেছে। এই চেষ্টা ও শ্রম অবশ্যই গুরুত্ব পাবে এবং চেষ্টা শ্রমকারীকে তার পূর্ণ মাত্রায় প্রতিফল অবশ্যই দেয়া হবে। (সূরা নাজম: ৩৯-৪১) আল্লাহ তাআলা আল-কুরআনের অন্য স্থানে বলেন, “প্রত্যেকের কাজ অনুপাতে তাদের মান-মর্যাদা নিরূপিত হবে, যেন আল্লাহ তাদের কৃতকর্মের প্রতিফল দিয়ে দিতে পারেন। তাদের ওপর একবিন্দু জুলুম করা হবে না” (সূরা আহক্বাফ:১৯)। রাসূলুল্লাহ সা. মালিক-শ্রমিকের দায়-দায়িত্ব সঠিকভাবে প্রতিপালনের মাধমে তাদের ‘দ্বিগুন’ সাওয়াবের নিশ্চয়তা প্রদান করে উভয়ের মর্যাদ স্থাপন করেছেন। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত হয়েছে যে, নাবী সা. বলেছেন, যে লোক তার বাদীকে উত্তমরূপে জ্ঞান ও আদব শিক্ষা দেয় এবং তাকে মুক্ত করে ও বিয়ে করে, সে দ্বিগুণ সাওয়াব লাভ করবে। আর যে ক্রীতদাস আল্লাহর হক আদায় করে এবং মনিবের হকও আদায় করে, সেও দ্বিগুণ সাওয়াব লাভ করবে (বুখারী, ২৫৪৭)।
বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হলে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার সমূহ বাস্তবায়ন করে মালিক-শ্রমিকের মাঝে সু-সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। ইসলামী শ্রমনীতিতেই শ্রমের মর্যাদা ও শ্রমিকের অধিকার সম্পর্কে যে নীতি অবলম্বন করেছে তাতে নেই কোন অসঙ্গতি। নেই মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে কোন ভেদাভেদ। তাই আসুন ইসলামী বিধি-বিধানে শ্রম, শ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক স্থাপনে যে সকল দিক-নির্দেশনা প্রদান করেছে তা প্রয়োগ করে শোষণমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন