রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী জীবন

দৈনন্দিন জীবনে ইসলাম

-আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

প্রশ্ন : আমার স্ত্রী রাগান্বিত হলে তার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। যাকে তাকে গালমন্দ করে। স্বামীকেও ছাড়ে না। এমনকি স্বামীর পিতা মাতাকে ও অন্যান্য মুরব্বীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এমনকি .... বাচ্চা, ..... বাচ্চা এসবও বলে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলে ভালো হয়।
উত্তর : মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকি কাজ। বড় গুনাহ। রাগের সময় হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলা একট মারাত্মক আত্মিক রোগ। অতিরিক্ত রাগও শরীয়তে নিন্দনীয়। রাগের সময় বলা হয়েছে দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়। হাত-মুখ ধুয়ে অজু করে শান্ত হও। যদি রাগের কারণ ঘটে তবুও অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করা যাবে না। এসব ভাষা অভ্যাস থেকে আসে। পারিবারিক শিক্ষার অভাবেও আসে। এমন আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। সংযম ও ধৈর্য শিখতে হবে। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আল্লাহ সদাচরণকারীদের ভালোবাসেন। যারা রাগকে সংবরণ করে, ক্রোধ গিলে ফেলে, মানুষের ভুল ক্ষমা করে দেয়, উপরন্তু তাদের প্রতি অনুগ্রহ করে।’ আল কোরআন। এমন হতে হবে। বিশেষ করে সম্মানিত ও বড়দের তো গালি দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। স্বামীকে স্ত্রী গালি দিতে পারে না। বুঝিয়ে বলতে পারে। স্বামীর পিতা-মাতা ও মুরব্বীদের গালি দেওয়া কল্পনাও করা যায় না। স্ত্রীকে এসব বুঝেই চলতে হবে। তবে যদি স্বামীর এমন কোনো দোষ থাকে, যে জন্য স্ত্রী পাগলের মতো হয়ে গালাগালি করে, তাহলে এর অন্য প্রতিকার আছে। অকথ্য ভাষায় গালাগালি নয়। আর মুরব্বীদের তো গালি দেওয়ার কোনো যুক্তি বা কারণই থাকতে পারে না। এখানে কি সমস্যা, তা বুঝতে হলে কেস স্টাডি করতে হবে। বড় আলেম বা মুফতিরা এর সমাধান দিতে চেষ্টা করবেন। তবে, গালি দেওয়ার কোনো বৈধতা বা সুযোগ নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন