মিজানুর রহমান তোতা
সুখের উল্লাসের নাচন
দিগন্তবিস্তৃত পখে নীরব বিবেকী গান
চারিদিকে জঙ্গলভরা কাঁটা বিঁধছে
তবুও গুনগুনিয়ে গাইছি আর হাটছি
কেউ নেই সাথে।
মনে মনে ভেবেছি, এটাই তো চেয়েছি
চারপাশে লোভজর্জর হায়েনাদের থেকে
দুরে আছি এই তো সুখ, অনেক সুখ
রক্তেভেজা পায়ের তালু।
খোলামনে প্রকৃতির সাথে কথা বলছি
মন দিয়ে শুনছে, নেই কোন কৃত্রিমতা
মেকি ভালোবাসা অন্তরের বিষ নেই
তাই তো সুখের উল্øাসে নাচছি।
খোদেজা মাহবুব আরা
প্রান্ত সীমায়
ঝিমধরা উদাস বিকেলে
নিজেকেই গল্প শুনাই বারবার
কোন একদিন প্রচন্ড আবেগে
জল থইথই মেঘ প্রহরে
তোমাকে জড়িয়ে রাখার মগ্নতায়
যন্ত্রণার করতলে আপ্লুত
তোমার প্রেমের স্নিগ্ধ প্রলেপ
আজও জমা রাখি সিন্ধু কোটরে,
বাতাসের ভাজে ছড়িয়ে রাখা অশ্রæর বিন্দু কনায়,
প্রকৃতি থেকে আমার জন্য ছিনিয়ে আনা হল
দুঃখবাসী ঘর গেরস্ত, নির্ভর বাতাসে বিষবাস্পের
অফুরান আনাগোনা, স্মৃতি চারণে টুকরো আয়ুস্কাল,
ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর শেষ বিকেলের প্রান্ত সীমায়
ঘেষে থাকা রোদ।
মাহবুবা করিম
শিরোনাম হয়ে যাচ্ছে মানুষের চোখ
আমরা নিছক ভদ্রতাবসত খবর পড়ি।
কোনই বিকার নেই।
নিজেদের পাপ স্নান ঘরে রেখে এসে
সিন্দুক খুলে, এর ওর লাশ সিন্দুকে গুঁজে রেখে
কৌতুক করি।
যদি দেখেনথ
প্রতিবাদের মশাল হাতে, বিংশ শতাব্দির একটি হাত
বুকের সবকটা বোতাম ছিঁড়ে দিচ্ছে রাষ্ট্রের,
এমন সংগ্রাম সব চোখে দেখা যায় না
ওকে জিইয়ে রাখুন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন