সুগন্ধি বসন্তী বন্ধনে
রফিকুল ইসলাম
অশোক পলাশের রঙে সুখস্বপ্ন এঁকে
পশ্চিম গোধূলির উড়া পাখির চোখে
প্রকৃতির কোলে প্রান্তিক বসন্ত-বিকেলে
ভাতঘর ছেড়ে পথ-চলা হাতে হাত রেখে
পুষে রাখি কামনার হৃদয় গহীনে
সেতো আমারই গোপন নিভৃত প্রাণে ?
ফুলেদের রঙে অন্তহীন অশান্ত
আলোড়ন তুলে এসেছে সুখের বসন্ত
ইচ্ছা ছিল সুগন্ধি বসন্তী বন্ধনে
বসন্ত বেলার এক সন্ধ্যা চুরি করে
কুমারী চুম্বনে সুখ খুঁজে নেবো
কৃষ্ণচূড়ার রঙে ফাল্গুনের ঘ্রাণে
আশা-নিরাশার পাশাপাশি হেঁটে যাবো
ফাগুনের আগুন ঝরা জ্বলন্ত বাগানে
পথে প্রভাতে ডালে ডালে ফুলে ফুলে
নিঃসঙ্গ দুপুরে বহুকালের দুঃখগুলো
ঝরাপাতার মত ঝরে শিমুলের তলে।
ভালোবাসা
বিচিত্র কুমার
ভালোবাসা একটা অনুভূতি
যা মনের সাথে মনের একটা টান,
ভালোবাসা সুখের একটা স্বপ্ন
কিম্বা বুকে লেখা কারু প্রিয় নাম।
ভালোবাসা যেন একটা উড়ন্ত প্রজাপতি
সুদূর থেকে দেয় শুধু হাতছানি,
দিবানিশি তার জন্য শুধু ছটফটানি
কিম্বা হঠাৎ আকাশের বুকে দুফোঁটা পানি।
ভালোবাসা হচ্ছে মনের মধ্যে লুকানো একটা স্বপ্ন
যা একজন লেখকের অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির মত,
কেউ লাইফে প্রকাশ করতে পারে কেউবা পারে না
সবাই শুধু অনুভাব করতে পারে একান্ত।
বেদনার জলছবি
রফিকুল নাজিম
কারো কারো শূন্যতা বুকের চৌকাঠে
জন্মের স্মৃতিচিহ্ন রেখে যায়
পাতা ঝরা দুপুরে মত নিঃসঙ্গ ভাবাবেগ
ফাগুনের আগাম হাওয়া বুকের একতারে টংঙ্কার মারে
তুমুল অবহেলায় অনাহূত বেদনারা লম্ফঝম্প করে যায়।
কারো কারো শূন্যতা বুকের ভেতর রিক্ততার চারু কাব্য রচে;
এক পৃথিবীর হাহাকার আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে; যাপিত জীবন।
একদিন বিকলাঙ্গ অনুভূতিগুলো
পাতাঝরা গাছের মত কঙ্কাল শরীরে দাঁড়ায়
মুমূর্ষু বাসনাগুলো হামাগুড়ি দেয় মহাকাল
একদিন অতল শূন্যতায় লীন হয়ে যায় কিছু কিছু সম্পর্ক।
তবুও কি সবকিছু ক্ষয়ে যায়; শেষ হয়ে যায়?
অন্ধকার
আজহার মাহমুদ
রাতের অন্ধকার আজ বড্ড ভালো লাগছে
ভালো লাগছে বাতাসের তীব্র শব্দ।
কেন জানি আজ ঠান্ডাও লাগছে না
একা-একা বসে আছি, হয়ে আছি নিস্তব্ধ।
চারপাশে তাকিয়ে দেখি রাতের অন্ধকারে
সবকিছু লাগছে ভয়ংকর কালো।
তবুও ভয় লাগছে না একটুও, বরং-
রাত যত গভীরে যাচ্ছে, ততই লাগছে ভালো।
ইচ্ছে করছে এই কালো আঁধারের মাঝে
সারাটা জীবন কাটিয়ে দিতে।
কারণ, জীবনের এই অসহ্য যন্ত্রণা
পারছি না আর নিতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন