বাংলাদেশের ইসলামী ঐক্যজোট
“দেশ আজ কারাবন্দী মানুষের হাহাকারে এক অঘোষিত বাকশালী বন্দিশালায় পরিনত হয়েছে। এই বন্দিশালায় শুধু রাজনৈতিক নেতাকর্মীরাই নয়,স্বাধীনতার ঘোষক, উন্নয়ন ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় সহজে জামিনযোগ্য সাজানো মামলায় জেলখানার অসহনীয় পরিবেশে আবদ্ধ”। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ জুন শনিবার ইসলামী ঐক্য জোটের শীর্ষ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীনের সভাপতিত্বে ও ঐক্যজোটের ঢাকা মহানগর সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার হোসাইন আনাসারীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। বিশেষ অতিথি ছিলেন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুতফর রহমান। ডা. ইরান বলেন, “গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমাদেরকে খালেদা জিয়া সহ সকল রাজবন্দিদের কারামুক্তির জন্য সর্বাত্মক সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। সকল অগণতন্ত্র ও অপ্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হচ্ছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। তাই সরকার তাকে মুক্তি দিতে ভয় পায়”। খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, “নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতিয় নির্বাচনের দাবিতে আমাদের সংগ্রাম চলবে”। সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন বলেন, “জনগণের সঠিক প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রকৃত নির্বাচন প্রয়োজন। আমরা চাই না ‘রাতের বেলা নির্বাচন, ভোট দেয় প্রশাসন’। আমরা চাই ‘দিনের বেলা নির্বাচন, ভোট দিবে জনগণ। রাজনৈতিক নিবন্ধনের কঠিন আইনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে প্রায় দুঃসাধ্য করে ফেলা হয়েছে। এই কালো আইনের সংশোধন করতে হবে”। মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ঐক্যজোট নেতা মাওলানা শহীদুল্লাহ, ক্বারী শাহ আলম, বিডিপি’র চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম, দেশ বাঁচাও, মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রকিবুল হাসান রিপন প্রমুখ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের বরাত দিয়ে প্রকাশিত ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবের রিপোর্টটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। প্রতিবাদ লিপিতে ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের দিন ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলছিল। যার কারনে আমরা ভোটের দিনই ভোট বর্জন করেছিলাম এবং ভোটের ফলাফল প্রত্যাখান করে নির্বাচনের পরেরদিন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংবাদ সম্মেলন করে এবং পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানায়। এরপরও ইসলামী আন্দোলনের নামে ভোট দেখানো নির্বাচন কমিশনের চরম খামখেয়ালীপনার শামিল। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারলে ইসলামী আন্দোলনের বাক্সে ভোট পড়তো ১ কোটিরও ওপরে। এ ফলাফল প্রকাশের জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধিক্কার জানাই এবং নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবী করছি। কাজেই ১২,৫৫,৩৭৩ ভোট ইসলামী আন্দোলনের ভোট নয়, এটা ইসি ও সরকার দলের যোগসাজসে সাজানো ফলাফল। মারাত্মক ভোট ডাকাতির জবাব এদেশের দেশ প্রেমিক জনগণ একদিন দিবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন