শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘হতাশার গল্প’ নাকি ‘নতুন ইতিহাস’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৯, ১২:০৭ এএম

ইংল্যান্ড দলের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ অর্জন বিশ্বকাপের রানার্সআপের খেতাব। তিনবার ফাইনাল (১৯৭৯, ১৯৮৭ ও ১৯৯২) খেললেও কোনোবার শিরোপা ছোঁয়া হয়নি ক্রিকেটের আবিস্কারক দেশটির। প্রতিবারই রানার্স আপ হয়েই খুশি থাকতে হয়েছে ক্রিকেটের ‘আঁতুড়ঘর’ দেশটিকে। ১৯৯২ বিশ্বকাপের পর এবারই প্রথম সেমি ফাইনালে গেল আয়োজক দলটি। ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলা দলটির বর্তমানে আইসিসি ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর অবস্থানে আছে।

গত বিশ্বকাপে (২০১৫) গ্রæপ পর্বে বাংলাদেশের কাছে হেরে নক আউট পর্বে জায়গা করতে ব্যর্থ হওয়া দলটিই এবার গ্রæপ পর্বের ৯ ম্যাচে ৬ জয় ও ৩ হারে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে। যা তাদের সেমির টিকিট প্রাপ্তিতে সকল বাধা উতরে দিয়েছে। এবারের আসরের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১০৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে শুরু। পরের ম্যাচে দলটি পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪ রানের হারে হোঁচট খায়। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দেয় এউইন মরগ্যানের দল। কিন্তু তার পরের ম্যাচেই অপ্রত্যাশিত ছন্দপতন ঘটে ইংলিশ শিবিরে। লঙ্কানদের করা ২৩২ রানের বাধা টপকাতে পারেনি বেয়ারস্টো-মরগ্যান-রুটরা। স্টোকস একা লড়াই করলেও ২০ রানের হারে মাঠ ছাড়ে ফেবারিট দলটি। পরের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছেও হেরে গিয়ে তৈরি হয় ছিটকে পড়ার শঙ্কা। কিন্তু দলগত প্রচেষ্টায় ভারত ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আয়োজকরা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিল, ‘আমরা আছি’।

এবারের আসরে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ৯ ম্যাচে ২ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফসেঞ্চুরিতে ৫০০ রান নিয়ে সবার উপরে জো রুট। সমান সংখ্যক ম্যাচে ২টি করে শতরান ও অর্ধশত রানের ইনিংস খেলে তারপরে আছেন জনি বেয়ারস্টো (৪৬২)। চারটি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলে ৩৮১ রান করে সেরা দশ ব্যাটসম্যানের তালিকায় আছেন বেন স্টোকসও। এছাড়া দলপতি এউইন মরগ্যান (৩১৭) ও জস বাটলারও (২৫৩) ব্যাট হাতে ছড়িয়েছেন আলো।

সেরা বোলারদের তালিকায় প্রথমেই উঠে আসবে আলোচিত জোফরা আর্চারের নাম। এবারের আসরে ইংলিশদের পক্ষে তিনিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ৯ ম্যাচে ১৭টি উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে আতঙ্ক তৈরি করেছেন এই পেসার। তারপরই আছেন মার্ক উড। গতি, বাউন্স ও লাইনলেন্থে ব্যাটসম্যানদের বিপাকে ফেলে ১৬ উইকেট লিখিয়েছেন নিজের নামের পাশে। এছাড়া ক্রিস ওকস ১০টি, লিয়াম প্লাঙ্কেট ৯টি, আদিল রশিদ ৮টি ও বেন স্টোকস ৭টি উইকেট নিয়ে দলের জয়ে রেখেছেন অবদান।

স্বাগতিকরা ইতিমধ্যে হাতে-কলমে বুঝিয়ে দিয়েছে তাদের সক্ষমতা। নিজেদের দিনে যেকোন প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা এই ইংল্যান্ড দলের আছে। তাই ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপ জয়ের দিকেই চোখ থাকবে ইংলিশদের। সেই লক্ষ্য থেকে দলটি আছে মাত্র দুই ম্যাচ দূরে। এবার দেখার বিষয় ইংলিশরা কি ফের হতাশার গল্পেরই পুনরাবৃত্তি করে নাকি রচনা করে নতুন ইতিহাস!

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন