প্রশ্ন : দুই বছর হলো স্ত্রী কর্তৃক আমি তালাকপ্রাপ্ত হই। আমাদের ১১ বছরের সংসারে আট বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। এখন পর্যন্ত আমরা কেউই অন্যত্র বিয়ে করিনি। বর্তমানে সে আবার নতুন করে আমার সাথে সংসার করতে চায়। আমি তাকে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক কীভাবে নিতে পারি?
উত্তর : বাংলাদেশি আইনে আপনারা অনেক কিছুই করতে পারেন। তবে শরিয়া আইনে প্রথম দেখতে হবে, আপনার স্ত্রী আপনাকে কোন বিবেচনায় তালাক দিয়েছিলেন। তিনি মূলত আপনাকে তালাক দিতে পারেন না। যদি দিতে চান, তাহলে তার সামনে তিনটি পথ খোলা আছে। এক. তালাকে তাফবিজ, অর্থাৎ আপনি তাকে তার নিজের ওপর তালাক দেয়ার ক্ষমতা যদি দিয়ে থাকেন। আপনাকে তার তালাক দেয়ার ক্ষমতা তাফবিজেও থাকে না। দুই. বনিবনা না হলে পরস্পর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে কোনো কিছুর বিনিময়ে স্বামীকে সম্মত করে বিয়ে বন্ধন শেষ করে দেয়া। শরিয়তে এর নাম খোলা তালাক। তিন. আদালতে গিয়ে স্বামীর অযোগ্যতা কিংবা অপরাধ প্রমাণ সাপেক্ষে কোর্টের দ্বারা বিয়ে ভেঙে ফেলা। আপনার স্ত্রী এর কোনটি করেছিলেন? যদি এর মধ্যে বর্ণিত পন্থায় তালাক হয়ে থাকে, আর ইদ্দত পার হয়ে অনেক সময় চলে গিয়ে থাকে, তাহলে বড় মুফতি ও ফকিহ আলেমের পরামর্শ নিয়ে শরিয়তের শর্ত পূরণ করেই আপনারা নতুন করে বিয়ে করতে পারবেন। আর যদি এসব পদ্ধতি ছাড়া মনগড়া কোনো আইনে তালাক দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে এমনও হতে পারে, আপনাদের বিয়ে ভাঙেনি। মানে তালাকই পতিত হয়নি। তবে তো সব ঠিকই আছে। এখন অনুসন্ধান করে দেখুন, আপনারা কোন পর্যায়ে আছেন।
প্রশ্ন : আমি একবার এক ঘুমন্ত নারীর ওপর চেপে বসেছিলাম। আমার কী করতে হবে, আমি কি মাফ পাবো?
উত্তর : কু-প্রবৃত্তির বশবর্তী হয়ে আপনি যা করেছেন, এজন্য আন্তরিকভাবে আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। তওবা করে এ ধরনের কাজ বা আচরণ থেকে বাকি জীবন দূরে থাকতে হবে। এ পাপের কালিমা দূর করার জন্য কিছু কিছু নফল আমল, নামাজ, তওবা, দান-খয়রাত করতে থাকবেন। আশা করা যায় আল্লাহ মাফ করে দেবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন