গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে এ্যাসিল্যান্ড অফিস চত্বরে কবুলিয়ত দলিল ছাড়াই সরকারি খাস সম্পত্তি ভোগ দখলের ৩ যুগ পর সরকার পক্ষে মামলার রায় হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলা এ্যাসিল্যান্ড অফিসের সীমানা প্রাচীরের ভিতরে বনগ্রাম তহশিল অফিস সংলগ্ন ৬২ শতাংশ জমি দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে আছে ফরিদুল নামের এক ব্যক্তি। সে তহশিল অফিসের মৃত পিয়ন ফজল হকের ছেলে বলে জানা যায়।ফজল হক ইতিপূর্বে ভূমি অফিসের পিয়ন ছিলেন। দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে তার পিতা পচু শেখ এর নামে কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরাণ লক্ষীপুর মৌজার (কবর স্থানের) পার্শ্বে ১.১৩ একর খাস জমি কবুলিয়ত গ্রহণ করেন।
কিন্তু তা সত্ত্বেও বিধি ভঙ্গ এবং তথ্য গোপন করে পিয়ন ছেলের প্রভাব খাটায় পচু শেখ। এক পর্যায়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সীমানা প্রাচীরের ভিতরের জমি কবুলিয়ত নেয়ার পায়তারা করেন। যাহার জেএল নং ৪১ দাগ নং-৪৭৬,৪৬২ দুই দাগের মধ্যে ৬২শতাংশ জমি রয়েছে। তৎকালীন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবরে ১২/৮৫-৮৬ নং কেস কবুলিয়তের জন্য দাখিল করেন। কবুলিয়তের শর্ত ভঙ্গ করায় কেসটি বাতিল হয়।
এদিকে উপজেলার ১১ ইউনিয়নের ভূমি সংক্রান্ত সকল গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পএ দস্তাবেজ আকারে এ্যাসিল্যান্ড অফিসে জমা আছে। কিন্তু নিরাপত্তার স্বার্থে চতুর্দিকে প্রাচীর নির্মাণ হলেও পশ্চিম অংশে অবৈধ দখলদার আদালতে মামলা ঠুকে দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ বন্ধ করেন। যা দীর্ঘদিনেও বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।যার ফলে অফিসটির নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা রয়েছে।
অবৈধভাবে সৃজনকৃত কাগজ দিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জর্জ আদালত,সাদুল্লাপুর-এর ৮৬/১২ মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। অফিস চত্বরের ভিতরে ১৯৮৪ সাল থেকে কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি অবৈধভাবে নিজ কব্জায় নিয়ে ভোগ দখল করে থাকেন। কিন্তু বিজ্ঞ আদালতে দীর্ঘদিন মামলা চলতে থাকে। অবশেষে গত ৭ মে ২০১৯ ইং তারিখে সরকার পক্ষে রায় হয়েছে। অবৈধভাবে সরকারের বেহাত হওয়া ৬২ শতাংশ সম্পত্তি চূড়ান্ত রায়ের ফলে রক্ষা পেয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন